Industrial Engineers Association Of Bangladesh (IEAB)

 

সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগ, আইইএবি।

০৪ (চার) টি শিল্প বিভাগ এবং ১০ (দশ) টি সাধারণ বিভাগ মোট ১৪ (চৌদ্দ) টি সাংগঠনিক বিভাগের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশ ব্যাপী আইইএবি এর সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিব্যাপ্ত / পরিচালিত হচ্ছে। আইইএবি এর ০৪ (চার) টি শিল্প বিভাগের মধ্যে সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগ আইইএবি এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ০১ (এক) টি শিল্প বিভাগ।

আইইএবি এর ১৪ ( চৌদ্দ) টি সাংগঠনিক বিভাগে আইইএবি এর জাতীয় প্রেসিডিয়াম কাউন্সিল থেকে ০১ ( এক ) জন করে সদস্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে আছেন। সেই মোতাবেক, সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের জন্য জাতীয় প্রেসিডিয়াম কাউন্সিল থেকে ০১ ( এক ) জন সদস্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে আছেন। সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের ০৫ (পাঁচ) টি সাংগঠনিক কাঠামো থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলরগণের সমন্বয়ে সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের বিভাগীয় কমিটি (Divisional Committee) গঠিত হয়েছে / হবে। সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের বিভাগীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা ০৬ (ছয়) জন। কাউন্সিলরদের মধ্যে একজন চীফ কাউন্সিলর থাকবে। সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডিয়াম সদস্য সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগীয় কমিটির সভাপতির ভুমিকা পালন করবেন এবং সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের চীফ / প্রধান কাউন্সিলর সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের ভুমিকা পালন করবেন। উল্লেখ্য যে, সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের সাংগঠনিক কার্যক্রম বিশেষ তদারকি ও ত্বরান্বিত করতে আইইএবি এর জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি থেকে ০১ ( এক) জন সদস্য বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে আছেন / থাকবেন।

প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার, প্রকৌঃ মুহাম্মদ মশিউর রহমান, প্রকৌঃ মোঃ লোকমান হোসেন, প্রকৌঃ মোঃ মুজাম্মেল হক, প্রকৌঃ মোঃ মাহবুব হাসান (মিজানুর), প্রকৌঃ মোঃ কামরুজ্জামান, প্রকৌঃ মোঃ আব্দুল জাব্বার, প্রকৌঃ প্রহলাদ সরকার কনিক, প্রকৌঃ ফয়সাল আহমেদ, প্রকৌঃ ইব্রাহিম হোসেন (তরুন) এবং প্রকৌঃ শাহাদৎ হেসেন সবাই আইইএবি এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং সবাই আইইএবি এর সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের গর্বিত সদস্য। প্রকৌঃ মোঃ লোকমান হোসেন সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগ থেকে নির্বাচিত / মনোনীত প্রথম প্রেসিডিয়াম মেম্বার এবং প্রকৌঃ মোঃ মুজাম্মেল হক সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগ থেকে নির্বাচিত / মনোনীত প্রথম চীফ কাউন্সিলর। প্রকৌঃ মোঃ মুজাম্মেল হক, প্রকৌঃ মোঃ মাহবুব হাসান (মিজানুর), প্রকৌঃ মোঃ কামরুজ্জামান, প্রকৌঃ মোঃ আব্দুল জাব্বার এবং প্রকৌঃ প্রহলাদ সরকার কনিক হলো আইইএবি এর ইতিহাসে সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের বিভিন্ন কাঠামো থেকে নির্বাচিত / মনোনীত প্রথম কাউন্সিলর। এমনকি, আইইএবি এর ইতিহাসে আইইএবি এর ওয়েবসাইট কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট কমিটির নির্বাচিত / মনোনীত সহ-সভাপতি (প্রকৌঃ মোঃ মাহবুব হাসান মিজানুর) এই সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগ, আইইএবি এর একজন গর্বিত সদস্য [ বিঃদ্রঃ ওয়েবসাইট কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভাপতি প্রকৌঃ মোঃ মাসুদ হাসান আল কারামি এর মৃত্যুতে উক্ত শূন্য পদে পরবর্তীতে ওয়েবসাইট কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন প্রকৌঃ মোঃ মাহবুব হাসান মিজানুর ]। উল্লেখ্য যে, আইইএবি এর ইতিহাসে প্রথম পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি এবং তৃতীয় জেলা / শিল্প ইউনিট আহবায়ক কমিটি এই সাভার মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগ থেকে গঠিত হয়েছে। সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের কাউন্সিলর প্রকৌঃ মোঃ কামররুজ্জামান আইইএবি এর ইতিহাসে মাল্টি-মিডিয়া পোর্টাল এর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন। সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের কাউন্সিলর প্রকৌঃ প্রহলাদ সরকার কনিক আইইএবি এর ইতিহাসে ইন্টারনাল এন্ড ইন্টান্যাশনাল পোর্টাল এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের আওতাধীন মানিকগঞ্জ জেলা পূর্ণাঙ্গ কমিটির নির্বাচিত / মনোনীত প্রথম সভাপতি প্রকৌঃ ফয়সাল আহমেদ আইইএবি এর ইতিহাসে পাবলিকেশন এন্ড পাবলিসিটি পোর্টাল এর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন। পাবলিকেশন এন্ড পাবলিসিটি পোর্টাল এর কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচিত /মনোনীত প্রথম সহ-সভাপতি প্রকৌঃ মোঃ আল-আমিন হোসেন এই সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের একজন গর্বিত সদস্য।

আইইএবি এর ইতিহাসে, আইইএবি এর ০৫ (পাচঁ) সদস্য বিশিষ্ট প্রথম জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির দুই জন সদস্য ( প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার এবং প্রকৌঃ মুহাম্মদ মশিউর রহমান) এই বিভাগ থেকে নির্বাচিত / মনোনীত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে এই দুই জন সর্ব সম্মতিক্রমে আইইএবি এর প্রথম জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি ( প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার) এবং সহ-সভাপতি ( প্রকৌঃ মুহাম্মদ মশিউর রহমান) নির্বাচিত / মনোনীত হয়েছিলেন। সংগঠনের পারম্ভিক অবস্থায় সাভার মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগকে প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার তাঁর নিজ নেতৃত্বে গুছিয়ে সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগকে আইইএবি এর সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী একটি বিভাগে রূপান্তর করেন। পরবর্তীতে কাজের সুষম বন্টরে জন্য আইইএবি এর ১৪(চৌদ্দ) টি সাংগঠনিক বিভাগে বিশেষ সাংগঠনিক তদারকি করতে জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির ০৫ (পাচঁ) জন সদস্যকে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত করে তাদের (জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যদের) মধ্যে বিভাগগুলো বন্টন করে দেওয়া হয়। জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির ০৪ (চার) সদস্যকে তিনটি করে বিভাগের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং একজন সদস্যকে দুইটি বিভাগের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়। সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগ থেকে দুইজন সদস্য জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটিতে থাকায় / নির্বাচিত বা মনোনীত হওয়ায়; জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিভাগগুলোর বিশেষ দায়িত্ব বন্টনের সময় প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার তার নিজ হাতে / নিজ নেতৃত্বে গুচ্ছানো সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগ এর বিশেষ দাযিত্ব ছেড়ে দেন এবং এই বিশেষ দায়িত্ব জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির অপর সদস্য প্রকৌঃ মুহাম্মদ মশিউর রহমানকে প্রদান করেন এবং তাকে (প্রকৌঃ মুহাম্মদ মশিউর রহমানকে) সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগ এর বিশেষ দায়িত্ব অর্পন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পারম্ভিককালে সংগঠনটির সুন্দর একটি নামকরণের জন্য আইইএবি এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের নিকট থেকে বিভিন্ন নামের প্রস্তাবনা গ্রহন করা হয়। পরবর্তীতে সেই প্রস্তাবিত নামগুলো থেকে সবচেয়ে সুন্দর নাম নির্বাচন করার জন্য প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে একটি অনলাইনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশী ভোট পেয়ে ” ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইইএবি)” নির্বাচিত হয়। এই নামটি প্রস্তাব করেছিলেন প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার। অর্থ্যাৎ আইইএবি এর যে সদস্য আইইএবি এর নামকরণ করেন, তিনি (প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার) সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের একজন গর্বিত সদস্য।

আইইএবি এর গঠনতন্ত্র প্রণেতা এবং গঠনতন্ত্র প্রনয়ণ কমিটির সভাপতি ( প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার) হলেন এই সাভার মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের একজন গর্বিত সদস্য। আইইএবি এর গঠনতন্ত্র প্রনয়ণের জন্য একটি কমিটি থাকলেও গঠনতন্ত্র প্রনয়ণ কমিটির সাধারণ মিটিংয়ে গঠনতন্ত্র প্রনয়ণ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে আইইএবি এর গঠনতন্ত্র প্রনয়ণের জন্য প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষারকে দায়িত্ব প্রদান করেন। দেশ/ বিদেশের পেশাজীবি সংগঠনের মান বজায় রেখে আইইএবি এর একশত সাতাশ পৃষ্টার একটা বিশ্বমানের গঠনতন্ত্র প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার একা প্রনয়ন করেন (শপত অধ্যায় বাদে) এবং নিজহাতে ১২৭ পৃষ্টার গঠনতন্ত্র তিনি কম্পিউটারে টাইপ করেন। তাই প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার আইইএবি এর একমাত্র গঠনতন্ত্র প্রণেতা। প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার ১২৭ পৃষ্টার গঠনতন্ত্র প্রনয়ণ করার পর পরবর্তীতে গঠনতন্ত্র প্রনয়ণ কমিটির সাধারণ মিটিংয়ে ”গঠনতন্ত্র প্রনয়ণ কমিটি”এর অপর সদস্যদের মাঝে গঠনতন্ত্রটি উপস্থান করেন। গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির সকল সদস্য কর্তৃক এই গঠনতন্ত্র গৃহীত হয়। পরবর্তীতে আইইএবি এর গঠনতন্ত্র আরো নির্ভুল ও গঠনমূলক করার জন্য একটি গঠনতন্ত্র যাচাই-বাছাই, বিশ্লেষণ, মূল্যায়ণ ও চূড়ান্তকরণ কমিটি”গঠন করা হয়। গঠনতন্ত্র যাচাই-বাছাই, বিশ্লেষণ, মূল্যায়ণ ও চূড়ান্তকরণ কমিটির নির্বাচিত / মনোনীত সহ-সভাপতি ( প্রকৌঃ মোঃ কামরুজ্জামান) হলেন এই সাভার মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগ, আইইএবি এর গর্বিত সদস্য।

আইইএবি এর ওযেবসাইটের যত ধরনের কন্টেন্ট উপস্থাপন করা হয়েছে, সবগুলোগুলো কন্টেন্ট সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের গর্বিত সদস্য প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার ওয়েবসাইট কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট কমিটিকে প্রদান করেন। এমনকি, আইইএবি এর ওয়েবসাইট তথ্যবহুল ও গঠনমূলক করার জন্য আইইএবি এর ওয়েবসাইটে বাংলায় এবং ইংরেজীতে উপস্থাপনকৃত সকল তথ্য (নিজ হাতে টাইপ করে) প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার ওয়েবসাইট কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট কমিটিকে প্রদান করেন। আইইএবি এর পারম্ভিক অবস্থায় প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজ করার মতো কোন নিয়োগপ্রাপ্ত লোক ছিলো না। সংগঠনের এর পারম্ভিক অবস্থায় প্রশাসনিক, দাপ্তরিক ও নথিপ্ত্রের কাজ করার মতো কোন জনবল না থাকায় প্রায় তিন থেকে চার বছর পর্যন্ত প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার নিজ হাতে সকল প্রকার প্রশাসনিক, দাপ্তরিক ও নথিপ্ত্রের কাজ করেছেন। আইইএবি এর লক্ষ্য- উদ্দেশ্য এবং ভবিষৎ পরিকল্পনা প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার প্রনয়ণ করেছেন এবং আলোচনার মাধ্যমে সর্বসম্মিতিক্রমে এই লক্ষ্য- উদ্দেশ্য এবং ভবিষৎ পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয় / গৃহীত হয়। প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার এর মতো সাংগঠনিক দক্ষ্য ও পরিশ্রমী একজন সদস্য আইইএবি সাভার -মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের হওয়ায়, আইইএবি এর সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প যেমন সমৃদ্ধ হয়েছে তথা সমগ্র আইইএবি পরিবারও সমৃদ্ধ হয়েছে।

প্রাইভেট ও শিল্প প্রিতিষ্ঠান / বেসরকারী খাতে কর্মরত প্রকৌশলীদের ন্যায্য দাবী, অধিকার, সুবিধা ও অসুবিধা, কল্যাণ এবং বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে এই সকল সেক্টরে কর্মরত প্রকৌশলীদের সমস্ত বৈষম্য নিয়ে কথা বলার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম / মঞ্চ / প্রতিষ্ঠান / অভিভাবক সংগঠন দাঁড় করানোর উদ্দেশ্যে এই সেক্টরের কর্মরত কিছু প্রকৌশলীরা একত্রিত হয়ে “আসুন ন্যায়ের পক্ষে কথা বলি” নামে একটি মেসেঞ্জার গ্রুপ তৈরী করেন।

এই “আসুন ন্যায়ের পক্ষে কথা বলি” মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে একটা সময় প্রাইভেট ও শিল্প প্রিতিষ্ঠান / বেসরকারী খাতে কর্মরত প্রকৌশলীদের ন্যায্য অধিকার, দাবী, সুবিধা ও অসুবিধা, বৈষম্য দূরীকরণে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার একটি শক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরী হয়। পরবর্তীতে এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ সালে সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচ কনভেনশন হলে সমগ্র বাংলাদেশের প্রাইভেট ও শিল্প প্রিতিষ্ঠান / বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রকৌশলীদের উপস্থিতিতে জাতীয় সম্মেনের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই সাভারের মাটিতেই আইইএবি এর জন্ম হয়। ১৬ ডিসেম্বর যেমন বাংলাদেশের জন্ম দিন তেমনি ১৬ ডিসেম্বর আইইএবি এর জন্ম দিন। ১৬ ডিসেম্বরে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক একটি দেশ পেয়েছি তেমনি ১৬ ডিসেম্বরে আমরা প্রাইভেট ও শিল্প প্রিতিষ্ঠান / বেসরকারী খাতে কর্মরত প্রকৌশলীদের একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম / পরিবার পেয়েছি। এমন একটি দিনে আইইএবি এর জন্ম হওয়াতে আইইএবি পরিবার গর্বিত।

সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগ সাংগঠনিকভাবে খুবই শক্তিশালী একটি বিভাগ। আইইএবি এর কেন্দ্রীয় প্রোগাম “জাতীয় সম্মেলন” সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের আশুলিয়া শিল্প ইউনিটের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচ কনভেনশন হলে ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। কেন্দ্রীয় প্রোগাম হলেও সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগে প্রোগামটি অনুষ্ঠিত হওয়ায় সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের সদস্যদের ভুমিকা ছিলো অনস্বীকার্য / চোখে পড়ার মতো। আইইএবি একটি জাতীয় সংগঠন। তাই আইইএবি জাতীয় সকল দিবস উৎযাপন করে থাকে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগে অবস্থিত হওয়ায় স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের মতো দুইটা জাতীয় প্রোগাম / কেন্দ্রীয় প্রোগাম সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রোগামগুলো আইইএবি এর কেন্দ্রীয় প্রোগাম হলেও সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের ভুমিকা থাকে সবচেয়ে বেশী। এছাড়াও, আইইএবি এর ইতিহাসে দ্বিতীয় সফল বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনমেলা-২০২২ আয়োজন করেছিলো এই সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগ, আইইএবি।

সাভার উপজেলা, ধামরাই উপজেলা এবং মানিকগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত। সরকারী প্রশাসনিকভাবে সাভার উপজেলা, ধামরাই উপজেলা এবং মানিকগঞ্জ জেলা উভয়ই ঢাকা বিভাগের একটি অংশ। ঢাকা মহানগরের কাছে হওয়ায় সাভার উপজেলার সাভার থানা ও আশুলিয়া থানার আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। সাভার ও আশুলিয়া ঢাকা জেলার থানা হলেও সাভার ও আশুলিয়াকে মানুষ আলাদাভাবে চিনে। সাভার ও আশুলিয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নাম ও কার্যক্রম নিন্মে তোলে ধরা হলোঃ-

জাতীয় স্মৃতিসৌধঃ জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত মুক্তিযোদ্ধা ও নিহত বেসামরিক বাঙালি ও অবাঙ্গালিদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি স্মারক স্থাপনা। এটি সাভারে অবস্থিত। এখানে মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের দশটি গণকবর রয়েছে। বিদেশি রাষ্ট্রনায়কগণ সরকারিভাবে বাংলাদেশ সফরে আগমন করলে এই স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন রাষ্ট্রাচারের অন্তর্ভুক্ত। এর নকশা প্রণয়ন করেছেন স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন। স্মৃতিসৌধের মিনার ব্যতীত প্রকল্পটির মহা-পরিকল্পনা ও নৈসর্গিক পরিকল্পনাসহ অন্য সকল নির্মাণ কাজের স্থাপত্য নকশা প্রণয়ন করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থাপত্য অধিদপ্তর। স্মৃতিসৌধ প্রানঙ্সণের সর্বমোট আয়তন ৮৪ একর। স্মৃতিস্তম্ত পরিবেষ্টন করে রয়েছে ২৪ একর এলাকাব্যাপী বৃক্ষরাজিশোভিত একটি সবুজ বলয়। স্মৃতিসৌধটির উচ্চতা ১৫০ ফুট / ৪৫ মিটার। সৌধটি সাত জোড়া ত্রিভুজাকৃতির দেয়াল নিয়ে গঠিত। এই সাত জোড়া দেয়াল বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাতটি ধারাবাহিক পর্যায়কে নির্দেশ করে। ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ যুক্তফ্রুন্ট নির্বাচন, ১৯৫৬শাসনতন্ত্ আন্দোলন, ১৯৬২ শিক্ষা আন্দোালন, ১৯৬৬ ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যু্থান, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ -এই সাতটি ঘটনাকে স্বাধীনতা আন্দোলনের পরিক্রমা হিসাবে বিবোচনা করে সৌধটি নির্মিত হয়েছে।এই স্মৃতিসৌধ সকল দেশ প্রেমিক নাগরিক এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় ও সাফল্যের যুগলবন্দি রচনা করেছে।

বিকেএসপিঃ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (সংক্ষেপে বিকেএসপি) হলো বাংলাদেশের একমাত্র ক্রীড়া শিক্ষাকেন্দ্র। ঢাকার অদূরে সাভারের জিরানিতে এই প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত। তবে সাভারের প্রধান কেন্দ্র ছাড়াও চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রামু, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ ও দিনাজপুরে রয়েছে বিকেএসপির আঞ্চলিক কেন্দ্র। ৩০ জন ফুটবল ও ৬০ জন হকি খেলোয়াড় নিয়ে ১৪ এপ্রিল ১৯৮৬ যাত্রা শুরু করে বিকেএসপি। বিকেএসপির মূল শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত। তবে স্নাতক / স্নাতকোত্তর ও বিভিন্ন বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রিও প্রদান করা হয়।

বিপিএটিসিঃ বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (সংক্ষেপে: বিপিএটিসি) একটি সংবিধিবদ্ধ প্রশিক্ষণমূলক প্রতিষ্ঠান যা সরকারি, বেসরকারি ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এটি ঢাকা জেলার সাভারে অবস্থিত। এছাড়া এর প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের সদর দপ্তরে চারটি আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। সরকারের একজন সচিব এর প্রধান কর্মকর্তা। তার পদবী রেক্টর। রেক্টরের অধীনে পাঁচটি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিব পর্যায়ে রয়েছে পাঁচজন পরিচালক। বিভাগগুলো হলো: ব্যবস্থাপনা ও লোকপ্রশাসন, কর্মসূচি প্রণয়ন ও পর্যবেক্ষণ, উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক বিষয়াদি, গবেষণা ও নির্দেশনা এবং প্রকল্প প্রণয়ন। এ প্রতিষ্ঠানের বিশেষ উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ে লোকপ্রশাসনের ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের জন্য সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও কলাকৌশল শিক্ষাদানের মাধ্যমে তাঁদের উন্নয়ন সাধন করা। সে উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে নবনিযুক্ত ক্যাডারদের মৌলিক প্রশিক্ষণ, মধ্যম স্তরের ও সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাদের চাকুরিকালীন প্রশিক্ষণ এবং পাবলিক করপোরেশন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানঃ বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান হলো সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার গণকবাড়িতে অবস্থিত। এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ সরকারের পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র। পারমাণবিক সম্পদ সম্পর্কে আরো দক্ষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়েছে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এই প্রতিষ্ঠানটি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এবং কমিশনের অধীনে এটি সবথেকে বড় প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের একমাএ এখানেই মানবদেহের কৃত্রিম হাড় তৈরি করা হয়।

কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রঃ কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র মূলত বাংলাদেশের মানব সম্পদের উন্নয়নের উদ্দেশে পরিচালিত একটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের ঢাকা জেলার সাভার উপজেলায় ব্যাংক টাউন এলাকায় অবস্থিত। ৫.৫৯ একর আয়তনের এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৭ সাল থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করে। এই প্রতিষ্ঠান যুব সমাজকে সু-সংগঠিত, সু-সৃঙ্খল ও উৎপাদনমুখী শক্তিতে রূপান্তরিত করার প্রয়াসে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করে এবং জাতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ডে বেকার যুবদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে।

শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটঃ শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (বাংলা: Sheikh Hasina National Institute of Youth Development) বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান । যুব উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ এই প্রতিষ্ঠান করিয়ে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েরে বিপরীত পাশে অবস্থিত।

সাভার কান্টনমেন্টঃ বাংলাদেশে যতগুলো কান্টনমেন্ট আছে, তার মধ্যে একমাত্র সাভার কান্টনমেন্টই আর্মস ক্যান্টনমেন্ট । পাশাপাশি সাভার কান্টনমেন্ট নান্দনিক সুন্দর্যে ভরপুর। বাংলাদেশ আর্মির বিশেষ Squad হল Dog Squad । আর সাভার ক্যান্টনমেন্টে রয়েছে Dog Squad তৈরীর জন্য বিশেস কুকুরের খামার। বাংলাদেশ আর্মির Dog Squad এর ট্রেনিং একমাত্র সাভার ক্যান্টনমেন্টেই দেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারঃ কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার মূলত একটি গবেষণা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকার সাভারে অবস্থিত। ১৯৫৯ সালে সাভারের ২৬১৩ একর জমির উপরে খামারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৩ সালে প্রথমবারের মত সিদ্ধি, শাহীওয়াল জাতের গবাদিপশু নিয়ে এই খামারটি কার্যক্রম শুরু করে। বাংলাদেশে উন্নত জাতের ষাঁড় ও ষাঁড়ের বীজ শুধুমাত্র এই খামারেই উৎপাদিত হয় এবং সারা বাংলাদেশে তা বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটঃ বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এর অধীনে একটি জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকার সাভারে অবস্থিত। ১৯৮৪ সালে রাষ্ট্রপতির ২৮ নং অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানটি এর কার্যক্রম শুরু করে ১৯৮৬ সালে। দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং গবেষণার মাধ্যমে সেগুলোর সমাধানে জ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন। প্রাণিসম্পদের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য, পুষ্টি, খাদ্য ও বাসস্থান এবং ব্যাবস্থাপনা বিষয়ে টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন। দেশি ও বিদেশি জাতের ঘাসসংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং খামারিদের মাঝে সিড কাটিং বিতরণ এবং ভেষজ স্বাস্থ্যপ্রযুক্তি উদ্ভাবন।প্রাণিজ পণ্য তৈরি, সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং মূল্য সংযোজন প্রযুক্তি উদ্ভাবন। খামারি পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ প্রযুক্তির প্রাথমিক সম্প্রসারণ, প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি বিষয়ে এই প্রতিষ্ঠান কাজ করে।

মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রঃ তৃণমূল পর্যায়ে স্বল্প শিক্ষিত, দু:স্থ মহিলাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠান সাভারের জিরাবোতে অবস্থিত।

বাংলাদেশ বেতারঃ সাভার উপজেলার আশলিয়া থানার কবিরপুরে বাংলাদেশ বেতারের ”ঢাকা ক্ষুদ্র তরঙ্গ প্রেরণ কেন্দ্র, অবস্থিত। ২X২৫০কিঃওঃ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বাংলাদেশ বেতার, কবিরপুর, ঢাকার শর্টওয়েভ ট্রান্সমিটারটির মাধ্যমে ১৯৮৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বর থেকে সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে থমসন ব্রডকাস্টের ২৫০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি অত্যাধুনিক প্রেরক যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। এই স্টেশনে কার্টেন ভাইপোল এন্টেনার পাশাপাশি লগ পিরিয়ডিক এন্টেনা রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে একটি নতুন রোটেটেবল ২/২ কার্টেন ভাইপোল এন্টেনা স্হাপন করা হয়েছে যা যেকোনো দিকে অনুষ্ঠান প্রচার করতে সক্ষম। দৃষ্টিনন্দন এ এন্টেনাটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সর্বপ্রথম এদেশে স্থাপন করা হয়। কেন্দ্রটি থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ( বহির্বিশ্বের) ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ অঞ্চলের জন্য বাংলা, ইংরেজি, আরবি, উর্দু, হিন্দি, নেপালি মোট ৬টি ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। এছাড়াও সাভার পৌর এলাকায় এবং ধামরাইয়ে বাংলাদেশ বেতারের দুইটি উচ্চ শক্তি ও নিন্ম শক্তি প্রেরণ কেন্দ্র রয়েছে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রঃ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বাংলাদেশের একটি বেসরকারি সাহায্য সংস্থা, যেটির কর্মসূচির ভিত্তি স্বাস্থ্য সেবার উপর নির্ভরশীল। স্বাধীন বাংলাদেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হচ্ছে প্রথম স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসাপাতাল। ১৯৭৭ সালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সমন্বিত সমাজস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা বা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করে। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে ব্রিটেনে বসবাসরত এক হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি চিকিৎসক বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন গঠন করে, যার সভাপতি ছিলেন ডা. এ এইচ সায়েদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ১৯৭১ সালের মে মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন এবং যুক্তরাজ্য যৌথভাবে এম এ মোবিন ও জাফরুল্লাহকে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করার জন্য ভারতে পাঠায়। তাঁরা বাংলাদেশ অস্থায়ী সরকারের (মুজিবনগর) সহায়তায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মেলাঘরে ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করেন। এই হাসপাতালের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন সেনাবাহিনীর ডাক্তার সিতারা বেগম। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল ঢাকার ইস্কাটন সড়কে পুনঃস্থাপিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের এপ্রিলে গ্রামকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু রূপে গড়ে তোলার জন্য চল গ্রামে যাই স্লোগান ও উদ্দেশ্য নিয়ে হাসপাতালটি সাভারে স্থানান্তরিত হয়। তখন নামকরণ করা হয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

সিআরপিঃ পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র বা সিআরপি (বাংলা: পক্ষাঘাতগ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র) হল একটি বাংলাদেশী বেসরকারি সংস্থা যা বাংলাদেশে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করে এবং এটি বাংলাদেশের সাভারে অবস্থিত।

জগন্নাথ রথঃ ধামরাই জগন্নাথ রথ বাংলাদেশের ধামরাই উপজেলায় অবস্থিত হিন্দু দেবতা জগন্নাথের প্রতি উৎসর্গিকৃত একটি রথমন্দির। প্রতি বছর এখানে রথযাত্রার দিন একটি সুবিশাল ছয়তলা রথে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা মূর্তি আরূঢ় করে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। রথটি হিন্দু দেবদেবীর নানা ছবিতে সজ্জিত থেকে। এই রথযাত্রাটিই বাংলাদেশ ভূখণ্ডের সর্বাধিক প্রাচীন ও দেশের বৃহত্তম রথযাত্রা। সারা দেশ থেকে পূণ্যার্থীরা এই রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে আসেন। রথ উৎসব, রথ মেলা এক মাস দীর্ঘ একটি মেলা, এবং এটি বাংলা পঞ্জিকার সাথে সংযুক্ত। শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে প্রতিবছর রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। ৯ দিন পর উল্টো রথ। এই রথ মেলায় বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রির জন্য বিভিন্ন স্টল স্থাপনের পাশাপাশি দেশবিখ্যাত সার্কাস দল, নাগরদোলা, পুতুল নাচের সমাগম হয় হয়। বেদেনীরা চুড়ি নিয়ে হাজির হয়। মৃত্যুকূপে মোটরসাইকেল কাঠের বৃত্তের মধ্যে ঘোরানো হয়, শিশুদের জন্য কাঠের, বাঁশের, মাটির খেলনা, কুটির শিল্প, তৈজসপত্র, ফার্নিচার ও খাদ্যদ্রব্য যেমন খই, মুড়ি-মুড়কিসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যের পসরা বসে মেলায়।

প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন ও দর্শনীয় স্থানঃ সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই ও মানিকগঞ্জে অনেক প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন ও দর্শনীয় স্থান আছে। কিছু অন্যতম প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন এর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিন্মে তোলে ধরা হলঃ-

বালিয়াটি জমিদার বাড়িঃ বালিয়াটি জমিদার বাড়ি উনিশ শতকে বাংলাদেশে নির্মিত প্রাসাদ সমূহের মধ্যে অন্যতম। বালিয়াটি প্রাসাদ মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে অবস্থিত। একে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি বা বালিয়াটি প্রাসাদ বলেও ডাকা হয়।

রাজা হরিশচন্দ্রের ঢিবিঃ রাজধানী ঢাকার সাভার উপজেলার মজিদপুরে রয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা রাজা হরিশচন্দ্রের ঢিবি (Raja Harishchandra Dhibi)। এটি রাজাসন ঢিবি নামেও পরিচিত। এখানে রয়েছে রাজা হরিশ চন্দ্রের প্রাসাদ, রাজা হরিশ চন্দ্রের বুরুজ ।

তেওতা জমিদার বাড়িঃ তেওতা জমিদার বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের প্রাচীন একটি জমিদার বাড়ি ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এটি শিবালয় উপজেলার তেওতা নামক গ্রামে অবস্থিত। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিচিহ্ন। এ প্রাসাদেই নজরুল, প্রমীলা দেবীর প্রেমে পড়েন।

বালিয়া জমিদার বাড়িঃ বালিয়া জমিদার বাড়িটির বেশির ভাগ অংশই একেবারে ধবংস প্রাপ্ত, শুধু মাত্র এর উচু গম্বুজ এবং তিন কোণা পেডিমেন্ট আর স্তম্ভ যুক্ত বাড়ির মূল প্রবেশপথটি অতীত ঐশ্বর্যের কিছুটা সাক্ষ্য দেয়। বাড়ির সামনেই রয়েছে একটা তিন গম্বুজ মসজিদ, যেটা পরবর্তী সময়ে বানানো হয়েছিল বলেই মনে হয়, কিংবা বারবার সংস্কারের কারণে আদি চেহারা হয়তো বা বদলে গেছে।

বিরুলিয়া জমিদার বাড়িঃ একসময়ের জমিদার নলিনী মোহর সাহার কাছে থেকে ৮৯৬০ টাকা ৪ আনার বিনিময়ে রজনীকান্ত ঘোষ বিরুলিয়া জমিদার বাড়ি কিনেছিলেন। ১১ টি প্রাচীন স্থাপনার জন্য বিখ্যাত বিরুলিয়া গ্রামটি এখনো এর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য ও আভিজাত্য বহন করে চলছে। এই গ্রামটির অধিকাংশ অধিবাসীই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি মন্দির। জমিদার দুর্গাপূজায় নিজ বাড়ির উঠোনে মেলার আয়োজন করতেন। বাড়িগুলোতে একসময় সদরঘর, বিশ্রামঘর, বিচারঘর, ঘোড়াশাল, পেয়াদাঘরসহ আরো কিছু ঘর ছিল। একসময় এখানে বসবাস ছিল আদি ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয়ের কর্ণধারদের পূর্বপুরুষদের। এখানে কালের সাক্ষী হিসেবে গ্রামের শেষ মাথায় রয়েছে শতববর্ষী একটি বিখ্যাত বটগাছ। ভাওয়াল রাজারও জমিদারি এবং অস্থায়ী বসবাস ছিল বিরুলিয়া গ্রামে। এছাড়াও এই গ্রামে বসবাস করতেন জমিদার তারক চন্দ্র সাহা, বনি বাবু, নিতাইবাবু।

গোলাপ গ্রামঃ বিকেল কাটানোর অসাধারন একটি জায়গা ”গোলাপ গ্রাম (Golap Gram)”। এই গোলাপ গ্রামটি সাভারের সাদুল্লাপুর গ্রামে অবস্থিত। গোলাপ ছাড়াও এই গ্রামে জারবেরা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা ফুলের চাষও হয়ে থাকে। এছাড়া এখানে উপভোগ করতে পারবেনঃ বিরুলিয়া জমিদার বাড়ি, সন্ধ্যার ফুলের বাজার, তুরাগ নদীতে নৌকা/ট্রলার ভ্রমণ এবং বিরুলিয়ায় প্রাচীন বটগাছ। আসল মজা পেতে হলে শীতকালে যেতে হবে। তখন ফুলের আকার অনেক বড় থাকে এবং ফুলগুলোও বেশ সতেজ থাকে।

আইইএবি এর সাভার-মানিকগঞ্জ সাংগঠনিক শিল্প বিভাগের আরো কিছু দর্শনীয় স্থান সমুহঃ– ফ্যান্টাসী কিংডম, নন্দন পার্ক, যমুনা থ্রিম পার্ক, আনন্দ রিসোর্ট, আলাদিন রিসোর্ট, মোহাম্মদী গার্ডেন, নাহার গার্ডেন, মাচাইন শাহী জামে মসজিদ, দক্ষিণারঞ্জণ মিয়া, যিনি ঠাকুরমার ঝুলির লেখক তার পৈএিক নিবাস সাভারের উলাইল(কর্ণপাড়া) অবস্থিত ইত্যাদি।

ড্রাগন ফলের চাষ ও সুপেয় মিষ্টি জলঃ এছাড়াও সাভারের বলিয়াপুরের চাকুলিয়াতে প্রথম বিদেশী ড্রাগন ফলের চাষ শুরু হয়। ড্রাগন ফল এখন সমগ্র বাংলাদেশে চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশে এটি একটি পরিচিত ফল হিসেবে ড্রাগন ফল স্থান করে নিয়েছে। সাভারের প্রতিটি এলাকা পানি সুপেয় ও স্বচ্ছ । কিন্তু সাভারে ভাকুর্তা এলাকায় রয়েছে সুপেয় মিষ্টি জলের খনি।

শিক্ষা ক্ষেত্রে সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগঃ ঢাকার আদি নাম / মুঘল আমলের নাম ছিলো জাহাঙ্গীরনগর। ঢাকার সেই আদি নামে / মুঘল আমলের নামে ঢাকার সাভারে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ”জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়”। বাংলাদেশের একমাএ শতভাগ আবাসিক সুবিধা সম্বলিত বিশ্ববিদ্যালয় হলো-জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। তাছাড়া প্রাকৃতিক দিক থেকেও সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ এই বিশ্ববিদ্যালয়টির ভেতরের লাল মাটি সম্বলিত উচু নিচু রাস্তা, লেক, গাছের সমারোহ একমাএ এই জাবিতেই রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির শ্যামল পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র অত্যন্ত মনোমুদ্ধকর। শীতকালে সুদুর সাইবেরিয়া হতে অতিথি পাখির আগমন ঘটে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। যার ফলে এটি পাখি পর্যবেক্ষকদের এক পছন্দের জায়গা। বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য সংশপ্তক। এই ভাস্কর্যে এক পা ও এক হাত হারিয়েও এক সংশপ্তক মুক্তিযোদ্ধা বিজয়ের হাতিয়ার উর্ধে তুলে ধরেছেন এবং সমাজবিজ্ঞান ভবনের সামনে এবং ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সাথেই রয়েছে ভাষা আন্দোলনের স্মরণে ভাস্কর্য অমর একুশ। এছাড়াও সাভারে গণ বিশ্ববিদ্যালয়, সিটি বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় সহ অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজ, সাভার সরকারী কলেজ, ধামরাই সরকারী কলেজ, বিভিন্ন পলিটেকনিট ইনস্টিটিউট সহ অনেজ নতুন ও প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইইএবি এর এই সাংগঠনিক বিভাগে রয়েছে।

শিল্প ক্ষেত্রে সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগঃ

বেত শিল্পঃ মানিকগঞ্জ বেত শিল্পের জন্য বিখ্যাত। ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া, গোয়ালডাঙ্গী, জাবরা, তরা (মির্জাপুর), কেল্লাই, উভাজানী এলাকার বংশ পরম্পরায় বাঁশ ও বেত শিল্পের সঙ্গে জড়িত ছিল প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার। কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগই পরিবারের সদস্যরাই পেশা বদল করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। বরটিয় ইউনিয়নের উত্তর শ্রীবাড়ী ঋষিপাড়া গ্রামের ১২০-১৩০টি পরিবার এখনো বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি উন্নতমানের খোল, ধামা, কাঠা, রিং, সেলেন্ডার, ফুটকাপ, টিফিনকির, নৌকা বাসকেট, সেড, পালা দাঁড়ি, টুড়ি, কুলা, ডালা, ঝুড়ি, চালুন, চাটাই মোড়া, খালোই, টুরকি, চেয়ারসহ হরেক রকমের নিত্য নতুন প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী তৈরি করে থাকেন। যা জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে থাকে। এমনকি এই অঞ্চলের তৈরি এসব কুটির শিল্প সামগ্রী রাজধানী ঢাকা হয়ে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে যাচ্ছে।

মানিকগঞ্জের বেত শিল্প বিলুপ্তির পথে! দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে মানিকগঞ্জের বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী। বাজারে প্লাস্টিক, মেলামাইন ও স্টিলের তৈরি পণ্যের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে লোকজ এ দুই পণ্য। উৎসব বা মেলাতেও বাঁশ ও বেতজাত শিল্পীদের তৈরি চাটাই, কুলা, মোড়া, টোপা চোখে পড়ে খুব দৈবাৎ। ৯০ দশকের পর থেকে ধীর গতিতে কমে যাচ্ছে আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বাঁশ ও বেতের সামগ্রীগুলো। আগামী দশকে হয়তোবা শুধুমাত্র স্মৃতি হিসাবেই রয়ে যাবে।নির্বিচারে বন জঙ্গল উজাড় হওয়ার ফলে বেত গাছ এখন খুব একটা চোখে পড়ে না। আগের মতো বেত গাছ গ্রামাঞ্চলেও এখন আর দেখা যায় না। মূল্যবান সম্পদ বেত ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আর এর খেসারত চরমভাবে দিচ্ছেন বেত শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিল্পীরা। তাই এ শিল্পের সাথে জড়িত পরিবারগুলো আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে দিন অতিবাহিত করছে; ফলে তারা হতাশ হয়ে এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

কাঁসা-পিতলের শিল্পঃ ঢাকা জেলার বৃহত্তম উপজেলা ধামরাই এলাকা কাঁসা-পিতলের জন্য বিখ্যাত। কাঁসা-পিতলের ভাস্কর্য। যার চাহিদা ও সুনাম দেশ ছাপিয়ে বিশ্বব্যাপী। একটা সময় শুধু বাংলাদেশ নয়, দেশের বাইরেও ছিল কাঁসা-পিতলের সরঞ্জামের প্রচুর চাহিদা। এছাড়া বিদেশী পর্যটকেরা একসময় কাঁসা-পিতলের মধ্যে কারুকাজখচিত বিভিন্ন দেবদেবী ও জীবজন্তুর প্রতিকৃতি জিনিসপত্রগুলো কিনে নিয়ে যেত। তলোয়ার, ধনুক সহ বিভিন্ন রাজকীয় ব্যবহার্য জিনিস তৈরী হতো কাঁসা-পিতল দিয়ে। ব্রিটিশ শাসন আমলেও এই শিল্পের প্রসার ঘটে এবং বাংলার ঘরে ঘরে এর ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সে সময় ঢাকার ধামরাই, শিমুলিয়া ছাড়াও টাঙ্গাইলের কাগমারী, জামালপুরের ইসলামপুর, বগুড়ার শিববাড়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে কারখানা গড়ে উঠতে শুরু করে। ধামরাইয়ে কাঁসা-পিতল শিল্পের এযাত্রা শুরু হয় পাল বংশের আমলে। হাজার বছরের বেশি সময়ের ইতিহাসের সাক্ষী ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী এই কাঁসা-পিতল শিল্প। বর্তমানে বিশ্ববাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকার পরও সঠিক প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে বাজার পাচ্ছে না এই শিল্প। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে হারিয়ে যেতে বসা এই শিল্প রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণের দাবি সংশ্লিষ্টদের।বাংলাদেশের ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে কাঁসা-পিতলের ব্যবহার। একসময় আমাদের দেশে পিতলের জিনিসপত্র ব্যবহারের খুব প্রচলন ছিল। বিশেষ করে রান্নাঘরের তৈজসপত্র ও ব্যবহার্য সামগ্রীর ক্ষেত্রে পিতলের থালা, বাটি, গ্লাস, রান্নার হাঁড়ি ইত্যাদি ব্যবহার করা হতো। সাধারণত জমিদারবাড়ি ও অভিজাত পরিবারগুলোতে বেশি দেখা যেত পিতলের তৈজসপত্র। তামা কাঁসার জিনিসপত্র ব্যবহারকে অভিজাতের প্রতীক হিসেবে দেখা হতো। এই কাঁসা-পিতল শিল্পের ঐতিহ্য আজ বিভিন্ন সমস্যায় দিনে দিনে হারিয়ে যেতে বসেছে। এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পের সাথে জড়িত শিল্পী ও ব্যবসায়ীরা আজ অভাব অনটনে দিন কাটাচ্ছে। বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে আজ কাঁসা-পিতল শিল্পে জড়িতরা বিভিন্ন পেশায় যেতে বাধ্য হচ্ছে। এই কারুশিল্পী ও ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে কখনোই কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কেউ। বর্তমানে শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়ের বিয়েতে উপহার হিসেবে কাঁসা-পিতলের তৈরি কিছু জিনিসপত্র কেনা হয়। তাছাড়া সচরাচর কেউ এসব কেনে না। তাই ব্যবসায় পড়েছে ভাটা। দেশের ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পকে বাঁচাতে হলে এগিয়ে আসতে হবে সরকারকে এবং তামা কাঁসা শিল্পে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করতে পারলে এবং তাদের তৈরি দ্রব্যসামগ্রী বিদেশে রফতানি করার ব্যবস্থা করলে এই শিল্প থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

বিসিক শিল্প নগরীঃ মানিকগঞ্জে রয়েছে বিসিক শিল্প নগরী। এই শিল্প নগরীতে রয়েছে সার্বক্ষনিক গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা। মানিকগঞ্জ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করর্পোরেশন (বিসিক) শিল্পনগরীর ১৯৮৮ সালে প্রায় ১০.৪০ একর জমির ওপর এই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের যাত্রা শুরু করে। মানিকগঞ্জ বিসিকের অবস্থা খুব বেশী ভালো না। তাই নতুন উদ্যোক্তা খোঁজা হচ্ছে। নতুন নতুন উদ্যোক্তার মাধ্যমে নতুন শিল্প স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। মানিকগঞ্জ বিসিক সহ মানিকগঞ্জে অবস্থিত কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ্য করা হরঃ- মুন্নু ফেব্রিকস লিঃ (মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের গিলন্ড নামক স্থানে এ শিল্প কারখানাটি গড়ে উঠেছে), আকিজ পার্টিকেল লিঃ (মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার তরা নামক স্থানে এ শিল্প কারখানাটি গড়ে উঠেছে), বসুন্ধরা ষ্টীল কমপ্লেক্স লিঃ ( মানিকগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নে গোলড়া চরখন্ডে বসুন্ধরা ষ্টীল কমপ্লেক্স গড়ে উঠেছে। এছাড়াও বিসিক শিল্প নগরীতে আকিজ টেক্সটাইল, রাইজিং নীট টেক্সটাইল, তারাসীমা এ্যাপারেল স্থাপিত হয়েছে। মাঝারী শিল্পঃ নাঈম ফেব্রিক্স লিঃ, বাংলাদেশ এ্যাপারেল এক্সেসরিজ লিঃ, রয়েল টাওয়েলস (প্রাঃ)লিঃ, এ্যালবাট্রোস ফেব্রিক্স (প্রাঃ)লিঃ, কালাম কটন এন্টারপ্রাইজ, ইয়ার্ন কনসার্ন লিঃ, আর,টি,এন নিটিং লিঃ, এ্যাথারটন ইমরেক্স কোঃ লিঃ, বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ইন্ড্রাঃ লিঃ, নিশা টোলার্জিক্যাল ইন্ড্রাঃ লিঃ, জে এন্ড জে এসেনসিয়াল প্রোডাক্টস লিঃ (ইউনিট-২), করবেল ইন্টারন্যাশনাল লিঃ, চিশতি পি,ভি,সি ইন্ড্রাঃ লিঃ, জে এন্ড জে এসেনসিয়াল প্রোডাক্টস লিঃ, করবেল কেমিক্যাল ইন্ড্রাঃ লিঃ, করবেল কেমিক্যাল ইন্ড্রাঃ লিঃ ( ইউনিট-২), মেসার্স ফ্যামিলি প্রোডাক্টস কোং লিঃ, রিফ্রেক্স (প্রাঃ) লিঃ, সুপার সাইন ইন্ড্রাঃ (ইলেকট্রিক্যাল ) লিঃ, নাগার গার্ডেন (প্রাঃ) লিঃ, ঢাকা ফুড প্রোডাক্টস, টেষ্টি ফুড প্রোডাক্টস, কর্ণভিট ফুড প্রোডাক্টস, নাসিম কেমিক্যাল এন্ড ফুড ওয়ার্কস, বাংলাদেশ কেমিট্যাক্স (প্রাঃ) লিঃ, রিলায়েবল মেটাল ইন্ড্রাঃ লিঃ, এলুমিনা (প্রাঃ) লিঃ এবং ব্রাদার্স ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস ইত্যাদি।

ধামরাইও রয়েছে বিসিক শিল্প নগরী। এই বিসিক শিল্প নগরীতে রয়েছে সার্বক্ষনিক গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা। প্রথমে ১৯ একর জমির উপর ধামরাই বিসিক শিল্প নগরী করা হয়েছিল। বর্তমানে এই শিল্প নগরীতে ১০৪টি প্লটে ৭২টি শিল্প কারখানায় প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত আছে। ধামরাইয়ে বিসিক শিল্প নগরী আরো ১২ একর জমির উপর ইতিমধ্যে সম্প্রসারণ / বর্ধিত করা হয়েছে। ধামরাই এর কুল্লা ইউনিয়নে ৫০০ একর জমিতে আরো একটি শিল্প নগরী প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। এই শিল্প নগরীতে একটি শিল্প মেগাসিটি করার পরিকল্পনা রয়েছে।

শিল্প কারখানাঃ সাভার এবং আশুলিয়া পোষাক শিল্প নগরী নামে পরিচিত। বাংলাদেশ এর অধিকাংশ শিল্প প্রতিষ্ঠান সাভার ও আশুলিয়ায় অবস্থিত। পোষাক শিল্পের সাথে জড়িত শ্রমিকদের যত ন্যায্য দাবী আন্দোলনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়েছে, তার বেশীরভাগ আন্দোলনই সাভার ও আশুলিয়ার পোষাক শিল্প নগরী থেকে শুরু হয়েছে। আশুলিয়াতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ পোষাক শ্রমিকদের জন্য সরকারী ব্যবস্থাপনায় গড়ে তোলা হয়েছে পোষাক শ্রমিক নিবাস। বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানিমুখী শিল্পখাত হলো পোষাক শিল্প। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প যাত্রা শুরু করে ষাটের দশকে। তবে সত্তরের দশকের শেষের দিকে রপ্তানিমুখী খাত হিসেবে এই শিল্পের উন্নয়ন ঘটতে থাকে। পোশাক শিল্প তৈরি পোশাক বা আরএমজি (Readymade Garments) নামে সমধিক পরিচিত। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে তৈরী পোশাক খাতের ভূমিকা অপরিসীম । বিজিএমইএ হচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের প্রধান প্রতিষ্ঠান। নিট পোশাকের জন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে, সেটির নাম বিকেএমইএ। সাভার এবং আশুলিয়া পোষাক শিল্প নগরী হিসেবে পরিচিত থাকলেও এখানে অনেক মাঝারী ও ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

ঢাকা ইপিজেডঃ ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল হল বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। সংক্ষেপে এটি ঢাকা ইপিজেড, ডিইপিজেড বা সাভার ইপিজেড নামেও পরিচিত। এটি রাজাধানী ঢাকার নিকটে সাভারের আশুলিয়া থানার গণকবাড়ি এলাকায় অবস্থিত। এই রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলটি ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত হয় এবং ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে এতে আরো একটি সম্প্রসারিত অঞ্চল / ইউনিট যুক্ত করা হয়। ৩৫৬.২২ একর এলাকার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই ইপিজেডটি বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা।

চামড়া শিল্প নগরীঃ দেশের অন্যতম রফতানিযোগ্য শিল্প চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। ২০১৭ সালে বিসিকের নেতৃত্বে ১ হাজার ১৫ কোটি টাকা ব্যয় ঢাকার হাজারীবাগ থেকে স্থনান্তরিত করে সাভারের হেমায়েতপুরে চামড়া শিল্পনগরীর স্থাপন করা হয়েছে। ১৯৫০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত রাজধানীর হাজারীবাগ ছিল ট্যানারি শিল্পের বৃহৎ ঠিকানা। হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প সরাতে ২০০৩ সালে সাভার চামড়া শিল্পনগরীর প্রকল্প হাতে নেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়াজাত পণ্য রফতানির জন্য এলডব্লিউজির সার্টিফিকেট প্রয়োজন। সংস্থাটির সনদ পাওয়ার প্রধান শর্ত হলোঃ ট্যানারি পরিবেশ দূষণ করতে পারবে না অর্থ্যাৎ পরিবেশবান্ধব শিল্পনগরী নিশ্চিত করা। কিন্তু পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমাতে না পারায় সাভার চামড়া শিল্পনগরী এলডব্লিউজির এখনো সদস্য হতে পারেনি।

আইইএবি এর সাংগঠনিক সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগে দেশের সু-প্রতিষ্ঠিত শিল্প গ্রুপ অব কোম্পানীর / মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীর শিল্প প্রতিষ্ঠান/ শিল্প কারখানা রয়েছে। যেমনঃ- এনার্জি পাক লিঃ, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিঃ, ইনসেপ্টা ফার্মাসিটিক্যালস লিঃ, বেক্সিমকো লিঃ, ইউনাইটেড পাওয়ার লিঃ, মন্নু সিরামিক্সস লিঃ, আকিজ গ্রুপ, একমি গ্রুপ, বেঙ্গল গ্রুপ, ক্লার্ক এনার্জি লিঃ, সরকার স্ট্রিল, বিল্ডট্রেড গ্রুপ, ইফাত গ্রুপ, সনোটেক্স গ্রুপ, পাকিজা, প্রাইড, সিঙ্গার, কাজী ফার্ম, বসুন্ধরা গ্রুপ ইত্যাদি । দিনের পর দিন এই এলাকায় শিল্প কারখানা সম্প্রসারিত হয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের অর্থনীতিতে সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই ও মানিকগঞ্জ শিল্প অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে চলেছে। এছাড়াও সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে সাভার ও মানিকগঞ্জে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চন / শিল্প অঞ্চল। যেমনঃ মানিকগ্ঞ্জ ইকোমিক জোন (শিবালয়) এবং আরিশা ইকোমিক জোন ( সাভার -কেরানগিঞ্জ)।

শিল্প বানিজ্য / শিল্প ঐতিহ্য/ শিল্প ঘনত্ব কে প্রাধান্য দিয়ে সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের অধীনে কয়েকটি শিল্প ইউনিট গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন শিল্প ইউনিটের অধীনে বিভিন্ন উপ-শিল্প ইউনিট গঠন করা হয়েছে। শিল্প ইউনিট গুলো জেলা কাঠামোর সমমান এবং উপ-শিল্প ইউনিটগুলো উপজেলা কাঠামোর সমমান।

আইইএবি এর সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগ এর অধীনস্ত সাংগঠনিক কাঠামোগুলো নিন্মে বর্ণিত হলো। যেমনঃ- ১। মানিকগঞ্জ জেলা ২। সাভার শিল্প ইউনিট ৩। ধামরাই শিল্প ইউনিট ৪। আশুলিয়া শিল্প ইউনিট এবং ৫। ডিইপিজেড শিল্প ইউনিট।

আইইএবি এর সাভার-মানিকগঞ্জ শিল্প বিভাগের জেলা / মহানগর / শিল্প ইউনিটগুলোর এর অধীনস্ত সাংগঠনিক কাঠামোগুলো নিন্মে বর্ণিত হলো। যেমনঃ-

মানিকগঞ্জ জেলা এর অধীনস্ত আইএবি এর সাংগঠনিক কাঠামো সমুহঃ-
১। ঘিওর উপজেলা ২। দৌলতপুর উপজেলা ৩। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা ৪। শিবালয় উপজেলা ৫। সাটুরিয়া উপজেলা ৬। সিংগাইর উপজেলা ৭। হরিরামপুর উপজেলা ৮ মানিকগঞ্জ পৌরসভা এবং ৯। সিংগাইর পৌরসভা।

সাভার শিল্প ইউনিট এর অধীনস্ত আইএবি এর সাংগঠনিক কাঠামো সমুহঃ-
। সাভার পৌরসভা ২। বনগাঁ, তেতুলঝোড়া ও ভাকুর্তা উপ-শিল্প ইউনিট ৩। আমিনবাজার ও কাউন্দিয়া উপ-শিল্প ইউনিট এবং ৪। বিরুলিয়া-সাভার সদর ইউনিয়ন উপ-শিল্প ইউনিট।

ধামরাই শিল্প ইউনিট এর অধীনস্ত আইএবি এর সাংগঠনিক কাঠামো সমুহঃ-
১। ধামরাই পৌরসভা, ২। ধামরাই উপ-শিল্প ইউনিট-১, ৩। ধামরাই উপ-শিল্প ইউনিট-২, ৪। ধামরাই উপ-শিল্প ইউনিট-৩ এবং ৫। ধামরাই উপ-শিল্প ইউনিট-৪।

আশুলিয়া শিল্প ইউনিট এর অধীনস্ত আইএবি এর সাংগঠনিক কাঠামো সমুহঃ-
১। আশুলিয়া পৌরসভা, ২। শিমুলিয়া উপ-শিল্প ইউনিট, ৩। ধামসোনা উপ-শিল্প ইউনিট, ৪। ইয়ারপুর উপ-শিল্প ইউনিট, ৫। পাথালিয়া উপ-শিল্প ইউনিট, এবং ৬। আশুলিয়া ইউনিয়ন উপ-শিল্প ইউনিট। ।

ডিইপিজেড শিল্প ইউনিট এর অধীনস্ত আইএবি এর সাংগঠনিক কাঠামো সমুহঃ-
১। ডিইপিজেড উপ-শিল্প ইউনিট-১, এবং ২। ডিইপিজেড উপ-শিল্প ইউনিট-২ ।

Savar-Manaikganj Industrial Division

The organizational activities of IEAB are being carried out all over Bangladesh through 04 (four) industrial divisions and 10 (ten) general divisions totaling 14 (fourteen) organizational divisions. Among the 04 (four) industrial divisions of IEAB, Savar-Manaikganj industrial division is one of the important industrial divisions of IEAB.

14 (fourteen) organizational divisions of IEAB have 01 (one) members as incumbents from the National Presidium Council of IEAB. Accordingly, 01 (one) member from National Presidium Council for Savar-Manaikganj industrial division is in charge. The Divisional Committee of Savar-Manaikganj industrial division has been/will be formed by the presidium members in charge of Savar-Manaikganj Industrial Division and councilors selected from 05 (Five) organizational structures of Savar-Manaikganj industrial division. Among the Councilors there will be a Chief Councilor. The presidium member in charge of Savar-Manaikganj industrial division will play the role of President of Savar-Manaikganj industrial Divisional Committee and Chief Councilor of Savar-Manaikganj will play the role of General Secretary of Savar-Manaikganj industrial Divisional Committee. The number of members of the Divisional committee of Savar-Manaikganj industrial division is 06 (Six). It is noted that 01 (one) member from the National Steering Committee of IEAB is specially assigned to supervise and accelerate the organizational activities of Savar-Manaikganj industrial division.

Engr. Jahangir Alam Tushar, Engr. Muhammad Moshiur Rahman, Engr. Md. Lokman Hossain, Engr. Md. Mojammel Huq, Engr. Md. Mahbub Hasan (Mizanur), Engr. Md. Kamruzzaman, Engr. Md. Abdul Jabber, Engr. Prahlad Sarkar Konik, Engr. Faisal Ahmed, Engr. Ibrahim Hossain (Tarun) and Engr. Shahadat Hossain are all founder members of IEAB and all are proud members of Savar-Manikganj Industrial Division of IEAB. Engr. Md. Lokman Hossain is the first elected / nominated Presidium Member from Savar-Manikganj Industrial Division and Engr. Md. Mojammel Huq is the first elected / nominated Chief Councilor from Savar-Manikganj Industrial Division. Engr. Md. Mojammel Huq, Engr. Md. Mahbub Hasan ( Mizanur ), Engr. Md. Kamruzzaman, Engr. Md. Abdul Jabber and Engr. Prahlad Sarker Konikare the first elected / nominated Councilors from various structures of Savar-Manikganj Industrial Division in the history of IEAB. Even, in the history of IEAB, the elected / nominated Vice President of IEAB’s Website Content Development Committee (Engr. Md. Mahbub Hasan Mizanur) is a proud member of Savar-Manikganj Industrial Division, IEAB [Note: After the death of the President (Engr. Md. Masud Hasan Al Karami) of Website Content Development Committee; Engr. Md. Mahbub Hasan Mizanur was elected as the President in this vacant post of Website Content Development Committee]. It may be noted that in the history of IEAB, the first plenary / organized district committee and the third district / industrial unit convener committee were formed from this Savar-Manikganj industrial division. Councilor of Savar-Manikganj Industrial Division Engr. Md. Kamrruzzaman was elected as the first president of Central Committee of Multi-media Portal in the history of IEAB. Councilor of Savar-Manikganj Industrial Division Engr. Prahlad Sarkar Konik was elected as Vice President of Central Committee of Internal and International Portal in the history of IEAB. Elected / Nominated First President of Manikganj District Plenary /organized Committee under Savar-Manikganj Industrial Division Engr. Faisal Ahmed was elected as the first president of Central Committee of Publication and Publicity Portal in the history of IEAB. The elected/nominated first vice-president of the Central Committee of Publication and Publicity Portal Engr. Md. Al-Amin Hossain is a proud member of Savar-Manikganj Industrial Division.

In the history of IEAB, two members of the 05 (five) member first National Steering Committee of IEAB (Engr. Jahangir Alam Tushar and Engr. Muhammad Moshiur Rahman) were elected/nominated from this division. Later these two were unanimously elected/nominated as President (Engr. Jahangir Alam Tushar) and Vice-President (Engr. Muhammad Moshiur Rahman) of the first National Steering Committee of IEAB. In the early stages of the organization, Engr. Jahangir Alam Tushar organized Savar Manikganj Industrial Division under his own leadership and transformed Savar-Manikganj Industrial Division into an organizationally strong division of IEAB. Later, 05 (five) members of the National Steering Committee were given special responsibility to carry out special organizational supervision in the 14 (fourteen) organizational divisions of IEAB for a balanced distribution of work and the divisions were distributed among them (members of the National Steering Committee). 04 (four) members of the National Steering Committee are given special responsibility for three divisions each and one member is given special responsibility for two divisions. Two members from Savar-Manikganj Industrial Division being / elected or nominated in the National Steering Committee; During the distribution of the special responsibilities of the divisions among the members of the National Steering Committee, Engr. Jahangir Alam Tushar gave up the special responsibility of Savar-Manikganj Industrial Division arranged under his own hands / under his own leadership and this special responsibility given to another member of the National Steering Committee, Engr. Muhammad Moshiur Rahman and an office circular was issued assigning him (Engr. Muhammad Moshiur Rahman) the special responsibility of Savar-Manikganj Industrial Division.

In the early days of the establishment of the organization, various name suggestions / proposals were received from the Founder members of IEAB for a beautiful naming of the organization. An online poll was then held among the Founder members to select the most beautiful name from those suggested names. “Industrial Engineers Association of Bangladesh (IEAB)” was elected by getting the most votes in the election. This name was Proposed by Professor Jahangir Alam Tushar. i.e., Who member of the IEAB; named of the IEAB, he (Engr. Jahangir Alam Tushar) is a proud member of Savar-Manikganj Industrial Division.

IEAB’s Constitution Creator and Chairman of the Constitution Creation Committee (Engr. Jahangir Alam Tushar) is a proud member of Savar-Manikganj Industrial Division. Although there is a committee for the creating of the Constitution of IEAB, in the general meeting of the Constitution Creation Committee, the other members of the constitution creation committee unanimously assigned the responsibility of promulgating the constitution of IEAB to Engr. Jahangir Alam Tushar. Engr Jahangir Alam Tushar single-handedly created a world-class constitution of one hundred and twenty-seven pages of IEAB, maintaining the standards of professional organizations of the country/abroad (except the oath chapter) and he typed the constitution of 127 pages by hand on the computer. So, Engr. Jahangir Alam Tushar is the sole Constitution creator of IEAB. Engr. Jahangir Alam Tushar, after promulgating the 127-page constitution, presented the constitution among other members of the “Constitution Creation Committee” in the general meeting of the Constitution Creation Committee. This Constitution was adopted by all the members of the Constitution Creation Committee. Later, a Constitution Verification, Analysis, Evaluation and Finalization Committee” was formed to make the constitution of IEAB more accurate and constructive. The vice-chairman of the Constitution Verification, Analysis, Evaluation and Finalization Committee (Engr. Md. Kamruzzaman) was elected/nominated from this Savar-Manikganj Industrial Division of IEAB.

All types of content presented on IEAB’s website, All the content was provided to the website content development committee by Engr. Jahangir Alam Tushar, a proud member of Savar-Manikganj Industrial Division. Even, to make the website of IEAB informative and constructive, all the information presented on the website of IEAB in Bengali and English (typed by his own hand) was provided by Engr. Jahangir Alam Tushar to the Website Content Development Committee. In the initial stage of IEAB there were no appointed people to do administrative, official and clerical work. Since there was no manpower to do the administrative, clerical and documentation work in the early stage of the organization, Engr. Jahangir Alam Tushar did all kinds of administrative, clerical and documentation work by himself for about three to four years. IEAB’s goals-objectives and future plans were presented by Engr. Jahangir Alam Tushar and through discussion, this goals-objectives and future plans is finalized/accepted unanimously. Having an organizational skill and hardworking member like Engr. Jahangir Alam Tushar of IEAB Savar-Manikganj Industrial Division, IEAB’s Savar-Manikganj industry has prospered as well as the entire IEAB family has prospered.

Some Engineers working in industrial establishments / non-government organization / private sector came together to form a messenger group called “Let’s Speak for Justice” for the purpose of setting up a platform / institution / parent organization for the engineers working in these sectors to talk about all the inequalities to ensure fair demands, rights, advantages and disadvantages, welfare and elimination of inequalities of engineers working in these sectors.

Through this “Let’s speak up for justice” messenger group, a strong platform is created to protest the injustices of the engineers working in the private and industrial establishments / non-government sector, their rights, demands, advantages and disadvantages, elimination of discrimination. Later, through this platform, on the path of truth and justice, on December 16, 2020, IEAB was born on the ground of Savar in the presence of a minister of the government of the People’s Republic of Bangladesh through a National Convention in the presence of engineers working in private and industrial institutions / non-governmental organizations in the PH convention hall of Savar Gonoshasthaya Kendra. 16th December is the birth day of Bangladesh as well as 16th December is the birth day of IEAB. On 16th December we got a country called independent sovereign Bangladesh and on 16th December we got an independent platform / family of engineers working in private and industrial establishments / private sector. IEAB family is proud that IEAB was born on such a day.

Savar-Manikganj Industrial Division is organizationally a very strong division. The central program of IEAB “National Convention” was held on 16th December 2020 at PH Convention Hall of Ganosatho Kendro of Ashulia Industrial Unit of Savar-Manikganj Industrial Division. Even though it is a central program, as the program was held in Savar-Manikganj Industrial Division, the role of members of Savar-Manikganj Industrial Division was undeniable. IEAB is a national organization. So IEAB celebrates all national days. As National Memorial is located in Savar-Manikganj Industrial Division, two National Programs / Central Programs like Independence Day and Victory Day are held in Savar-Manikganj Industrial Division. Although these programs are central programs of IEAB, the role of Savar-Manikganj Industrial Division is the highest. Also, the Savar-Manikganj Industries Division, IEAB organized the second successful Divisional Engineers gettogether-2022 in the history of IEAB.

Savar Upazila, Dhamrai Upazila and Manikganj District are located in the central part of Bangladesh. Officially, Savar Upazila, Dhamrai Upazila and Manikganj District are both part of Dhaka Division. Savar Thana and Ashulia Thana of Savar Upazila have different importance as they are near Dhaka metropolis. Although Savar and Ashulia are police stations of Dhaka district, people know Savar and Ashulia separately. Names and activities of some important institutions of Savar and Ashulia are mentioned below: –

National martyr’s memorial: The National martyrs memorial is a memorial Monuments dedicated to the memory of the freedom fighters and civilian Bengalis and non-Bengalis who died in the Bangladesh War of Independence. It is located in Savar. There are ten mass graves of those who died in the liberation war. When foreign statesmen come on official visits to Bangladesh, it is customary to pay respects at this memorial. It was designed by architect Syed Mainul Hossain. Apart from the minaret of the memorial, the architectural design of all other construction works including the master plan and landscape plan of the project was prepared by the Directorate of Architecture of the People’s Republic of Bangladesh. The total area of the memorial premises is 84 acres. The monument is surrounded by a 24-acre green ring with trees. The height of the monument is 150 feet / 45 meters. The monument consists of seven pairs of triangular walls. These seven pairs of walls represent the seven successive stages of Bangladesh’s independence movement. 1952 language movement, 1954 United Front elections, 1956 governance movement, 1962 education movement, 1966 six-point movement, 1969 mass uprising, 1971 liberation war – these seven events have been interpreted as the circumambulation of the freedom movement. This memorial commemorates the victory and success of all patriotic citizens and freedom fighters.

BKSP: Bangladesh Sports Education Institute (abbreviated as BKSP) is the only sports education center in Bangladesh. This institution is located in Jirani, Savar near Dhaka. However, apart from the main center of Savar, BKSP has regional centers in Chittagong, Khulna, Barisal, Sylhet, Ramu, Rajshahi and Mymensingh and Dinajpur. BKSP started its journey on 14 April 1986 with 30 football and 60 hockey players. The core education program of BKSP is conducted upto higher secondary level. However, Bachelor’s/Master’s and Diploma degrees in various subjects are also awarded.

BPATC: Bangladesh Public Administration Training Center (abbreviation: BPATC) is a statutory training institute that trains officers of government, private and self-governing institutions. It is located in Savar of Dhaka district. Besides, there are four regional public administration training centers under its administrative supervision at the headquarters of Dhaka, Chittagong, Rajshahi and Khulna divisions. A secretary to the government is its chief officer. His title is Rector. There are five directors at joint-secretary level in charge of five departments under the Rector. The departments are: management and public administration, program formulation and monitoring, development and economic affairs, research and guidance and project formulation. The special objective of this institution is to develop public and private officials by teaching them the necessary knowledge and skills for the management and development of public administration at the national level. For that purpose, the organization’s activities include basic training of newly appointed cadres in Bangladesh Civil Service, in-service training of middle level and senior government officials and training of officers of public corporations, local authorities and private institutions.

Bangladesh Atomic Energy Research Institute: Bangladesh Atomic Energy Research Institute is located at Ganakbari of Ashulia Thana of Savar Upazila. This institution was established in 1975. This institute is the Nuclear Research Center of Bangladesh Government. The institute was established to provide more efficient training in nuclear resources. Bangladesh Atomic Energy Commission regulates this institution and it is the largest institution under the commission. The only artificial bone in Bangladesh is manufactured here.

Central Human Resource Development Center: Central Human Resource Development Center is basically a training program-based organization for the development of human resources in Bangladesh. It is located in the Bank Town area of Savar Upazila in Dhaka District, Bangladesh. This institute with an area of 5.59 acres started training program since 1997. This institute imparts various types of training in an effort to transform the youth into a well-organized, well-organized and productive force and imparts training to involve the unemployed youth in national development activities.

Sheikh Hasina National Institute of Youth Development: Sheikh Hasina National Institute of Youth Development (Bengali: Sheikh Hasina National Institute of Youth Development) is an institution of the Government of Bangladesh. This institute provides various types of training for youth development. This institution is located opposite Jahangirnagar University.

Savar Cantonment: Out of all the cantonments in Bangladesh, Savar Cantonment is the only Arms Cantonment. Besides Savar cantonment is full of aesthetic beauty. Bangladesh Army’s special squad is Dog Squad. On the other hand, Savar cantonment has Bishes dog farm for making Dog Squad. Training of Dog Squad of Bangladesh Army is given only in Savar Cantonment.

Central Cattle Breeding and Dairy Farm: Central Cattle Breeding and Dairy Farm is primarily a research and service institution. The institution is located in Savar, Dhaka. The farm was established in 1959 on 2613 acres of Savar land. In 1963, this farm started its operations for the first time with Siddhi, Shahiwal breeds of cattle. The best breed of bulls and bull seeds in Bangladesh are produced only in this farm and distributed all over Bangladesh.

Bangladesh Livestock Research Institute: Bangladesh Livestock Research Institute is a national research institute under the Ministry of Fisheries and Livestock. The institution is located in Savar, Dhaka. Bangladesh Livestock Research Institute was established in 1984 through the issuance of Presidential Ordinance No. 28. The institution started its operations in 1986. Identifying the problems of livestock development in the country and developing knowledge and technology to solve them through research. Development of sustainable technologies for conservation and development of livestock breeds and health, nutrition, food and housing and management. Conservation, development and distribution of seed cuttings among farmers of indigenous and foreign grasses and development of herbal hygiene technology. Development of technology for production, conservation, development and value addition of animal products. This institute works on basic extension of livestock technology, imparting training etc. at the farm level.

Mahila Krishi Training Center: Various training programs are being conducted in Mahila Krishi Training Center to ensure women’s participation in economic activities by raising awareness and creating self-employment among the less educated, disadvantaged women at the grassroots level. This institution is located at Jirabo in Savar.

Bangladesh Betar: Bangladesh Betar’s “Dhaka Small Wave Transmission Center” is located at Kabirpur of Ashlia Thana of Savar Upazila. Broadcasting started on 1st September 1985 through the shortwave transmitter of Bangladesh Betar, Kabirpur, Dhaka with a capacity of 2X250kW. At present, a state-of-the-art transmitter with a capacity of 250 kW has been installed by Thomson Broadcast. This station has curtain wavepole antenna as well as log periodic antenna. In addition, a new rotatable 2/2 curtain bipole antenna has been installed which is capable of broadcasting programs in any direction. The antenna at Drishtinandan is the first in Southeast Asia to be installed in this country. From the center, programs are broadcasted in 6 languages Bengali, English, Arabic, Urdu, Hindi, Nepali for Southeast Asia (outside world) India, Pakistan, Nepal, Middle East, Europe region. Bangladesh Betar also has two high power and low power transmission stations in Savar Municipal area and Dhamrai.

Gonoshasthaya Kendra: Gonoshasthaya Kendra is a non-governmental aid organization in Bangladesh, whose programs are based on health services. Gonoshathya Kendra is the first health center or hospital in independent Bangladesh. In 1977, Gonoshathya Kendra won the highest national award for integrated social health and family planning services or population control. In March 1971, more than a thousand Bangladeshi doctors living in Britain formed the Bangladesh Medical Association, whose president was Dr. AH Saidur Rahman and General Secretary Dr. Zafrullah Chowdhury. In early May 1971, the Bangladesh Medical Association and the United Kingdom jointly sent MA Mobin and Zafrullah to India to assist in the Liberation War. They set up a 480-bed Bangladesh Field Hospital at Melaghar in the Indian state of Tripura with the help of the Provisional Government of Bangladesh (Mujibnagar). Army doctor Sitara Begum was the commanding officer of this hospital. After independence, Bangladesh Field Hospital was re-established on Iskaton Road in Dhaka. Later in April 1972, the hospital was shifted to Savar with the slogan ‘Let’s go to the village’ and the objective of making the village a center of development. It was then named Gonoshasthya Kendra.

CRP: centre for the rehabilitation of the paralysed or CRP is a Bangladeshi non-governmental organization working for the rehabilitation of paraplegics in Bangladesh and is located in Savar, Bangladesh.

Jagannath Rath: Dhamrai Jagannath Rath is a chariot temple dedicated to the Hindu deity Jagannath located in Dhamrai Upazila, Bangladesh. Every year on the Rathjatra day, a huge six-story chariot enshrining Jagannath, Balaram and Subhadra idols is held in procession. The chariot is decorated with various images of Hindu gods and goddesses. This Rathjatra is the oldest and the largest Rath Yatra in the territory of Bangladesh. Pilgrims from all over the country come to participate in this Rathjatra. Rath Utsav, Rath Mela is a month-long fair, and is linked to the Bengali calendar. Rathjatra is held every year on the second day of Shuklapaksha. After 9 days the reverse chariot. In this Rath Mela, various stalls are set up for the sale of various products as well as famous circus troupe, Nagordola, and puppet dance. Bedeni appeared with bangles. In the death well, motorcycles are driven around the wooden circle, and a variety of goods such as khai, muri-murki, etc. are displayed for children, along with wooden, bamboo, clay toys, cottage art, handicrafts, furniture and food items.

Archaeological monuments and places of interest: There are many archaeological monuments and places of interest in Savar, Ashulia, Dhamrai and Manikganj. A brief description of some of the archeological artifacts is given below: –

Baliati Zamindar Bari: Baliati Zamindar Bari is one of the palaces built in Bangladesh in the 19th century. Baliati Palace is located in Baliati Village of Saturia Upazila of Manikganj District. It is also called Baliati Zamindar Bari or Baliati Palace.

Raja Harishchandra Dhibi: Raja Harishchandra Dhibi is one of the oldest archaeological sites in Bangladesh in Majidpur of Savar Upazila of the capital Dhaka. It is also known as Rajasana Mound. Here is the palace of Raja Harish Chandra, the tower of Raja Harish Chandra.

Teota Zamindar Bari: Teota Zamindar Bari is an ancient zamindar house and archaeological site of Bangladesh located in Shibaloy Upazila of Manikganj district. It is located in Teota village of Shivaloy Upazila. There is a memorial of the national poet of Bangladesh, Kazi Nazrul Islam. Nazrul fell in love with Pramila Devi in this palace.

Balia Zamindar House: Most of the Balia Zamindar House is completely ruined, only its high dome and the main entrance of the house with three corner pediments and pillars give some evidence of the past opulence. In front of the house is a three-domed mosque, which seems to have been built at a later date, or may have changed its original appearance due to repeated renovations.

Birulia Zamindar House: Rajnikanth Ghosh bought the Birulia Zamindar House from the erstwhile Zamindar Nalini Mohr Saha for Tk 8960 4 annas. Famous for its 11 ancient structures, Birulia village still carries its enchanting beauty and nobility. Most of the residents of this village are Hindus. There are several temples here. The zamindar used to organize a fair in his backyard during Durga Puja. The houses once had a headquarters, a rest house, a court house, a stable, and some other rooms. The ancestors of the Karndharas of Adi Dhakeswari Bastralaya once lived here. Here, as a witness of time, there is a famous hundred-year-old banyan tree at the end of the village. Bhawal Raja also had zamindari and temporary residence in Birulia village. Zamindar Tarak Chandra Saha, Bani Babu, Nitai Babu also lived in this village.

Golap Gram: A wonderful place to spend an afternoon is “Golap Gram”. This rose village is located in Sadullapur village of Savar. Apart from rose, gerbera, gladiolus, rosary flowers are also cultivated in this village. Also enjoy: Birulia Zamindar House, Evening Flower Market, Boat/Trawler Tour on Turag River and Ancient Banyan Trees at Birulia. For the real fun, go in the winter. Then the flower size is very large and the flowers are very fresh.

Some other attractions of IEAB’s Savar-Manikganj Organizational Art Division include: – Fantasy Kingdom, Nandan Park, Jamuna Thrim Park, Anand Resort, Aladdin Resort, Mohammadi Garden, Nahar Garden, Machin Shahi Jame Masjid, Dakshinaranjan Mia, who is the author of Grandmother’s Jhuli. Nibas Savar is located in Ulail (Karnpara) etc.

Dragon Fruit Cultivation and Fresh Water: Also, the first exotic dragon fruit cultivation started at Chakulia in Boliyapur, Savar. Dragon fruit is now cultivated all over Bangladesh. It has replaced dragon fruit as a popular fruit in Bangladesh. Every area of Savar has fresh and clear water. But in the Savare Bhakurta area there are good fresh water mines.

In the field of education, Savar-Manikganj Industrial Division: The original name of Dhaka/Mughal period was Jahangirnagar. The country’s top local university “Jahangirnagar University” has been established in Savar, Dhaka under the original name of Dhaka / Mughal period. The only university in Bangladesh with 100% residential facility is Jahangirnagar University. In addition, this university is full of natural beauty, the high and low roads with red soil, lakes, trees are unique in this area. The green environment and biodiversity of the university is very attractive. In winter, visiting birds from distant Siberia come to this university. This makes it a favorite spot for bird watchers. In front of the university library there is a memorial sculpture of liberation war. In this sculpture, a freedom fighter who lost a leg and an arm raised the instrument of victory and in front of the Sociology Building and next to the student-Teacher Center is the sculpture Amar Ekush commemorating the language movement. Also, many private universities including Savare Gana University, City University, Daffodil International University, BRAC University and many new and old educational institutes including Manikganj Devendra College, Savar Government College, Dhamrai Government College, various polytechnic institutes are under this organizational division of IEAB.

Savar-Manikganj Industrial Division in The Field of Industry:

Cane Industry: Manikganj is famous for cane industry. More than 500 families were involved in the bamboo and cane industry in Baratia, Goaldangi, Jabra, Tara (Mirzapur), Kellai, Ubhajani areas of Ghior upazila. But nowadays most of the family members are making a living by changing profession. 120-130 families of North Sribari Rishipara village of Bartia Union still make high-quality khol, dhama, khata, ring, celander, footcup, tiffinkir, boat basket, sed, pala dhari, turi, kula, dala, basket, chalun, mat made of bamboo and cane. They make all kinds of daily necessities including wraps, khaloi, turki, chairs. Which is sold in different markets of the district. Even these cottage industry products made in this region are going to several countries including Singapore, Thailand, Indonesia through the capital Dhaka.

Manikganj cane industry on the way to extinction! Manikganj’s bamboo and rattan products are disappearing day by day. These two products are disappearing in the market due to the dominance of plastic, melamine and steel products. Chatai, kula, mora, topa made by bamboo and cane artists are also seen in festivals or fairs. Since the 90s, the traditional bamboo and cane products of our village Bengal are slowly decreasing. In the next decade, it may only remain as a memory. Due to the indiscriminate deforestation, the cane trees are not seen much now. Cane trees are no longer seen in rural areas as before. The precious resource cane is slowly disappearing. And the artists associated with the cane industry are giving the loss to the extreme. So, the families involved in this industry are spending their days in financial misery; As a result, they are forced to leave this profession and move to other professions.

Bronze-brass industry: Dhamrai, the largest upazila of Dhaka district, is famous for bronze-brass. Bronze-brass sculpture, the demand and reputation of which transcends the country to the world. At one time there was a huge demand for bronze and brass tools not only in Bangladesh but also outside the country. Apart from this, foreign tourists used to buy bronze and brass replicas of various deities and animals. Various royal implements including swords and bows were made of brass. Even during the British rule, this art flourished and its use became popular in the homes of Bengal. At that time, besides Dhamrai in Dhaka, Shimulia, Kagmari in Tangail, Islampur in Jamalpur, Shibbari in Bogra, Chapainawabganj, Lauhjung in Munshiganj, factories started to be established. The journey of bronze-brass industry in Dhamrai began during the Pala dynasty. This traditional bronze-brass industry of Dhamrai has witnessed a history of more than a thousand years. At present, despite the huge demand in the world market, this industry is not getting the market due to lack of proper promotion and patronage. Besides, the people concerned demand to take public and private initiatives to protect this industry which is disappearing from the domestic market. The use of bronze and brass is mixed with the tradition of Bangladesh. Once upon a time, the use of brass items was very popular in our country. Brass plates, bowls, glasses, cooking pots etc. were used especially in the case of kitchen utensils and utensils. Generally brass taijaspatra were more common in zamindars and noble families. The use of brassware was seen as a symbol of aristocracy. The tradition of this bronze-brass industry is getting lost day by day due to various problems. Artists and traders involved in this traditional art are living in poverty today. Those involved in the brass industry today are forced to leave the profession of their fathers and grandfathers and go to different professions. No one has ever taken any steps to solve the problems of these artisans and traders. At present, some items made of bronze and brass are bought as gifts only on the marriage of Hindu girls. Besides, usually nobody buys these. So, the business has declined. To save this traditional industry of the country, the government has to come forward and if the copper and brass industry can be given loans on easy terms and if their products can be exported abroad, it is possible to earn a lot of foreign exchange from this industry.

BSCIC Industrial City: Manikganj is a BSCIC industrial city. This industrial city has round-the-clock gas, water, electricity supply system. Manikganj Small and Cottage Industry Corporation (BSCIC) started this small and cottage industry in Shilpanagari in 1988 on about 10.40 acres of land. The condition of Manikganj BSCIC is not very good. So, looking for new entrepreneurs. Efforts are being made to implement the plan to set up new industries through new entrepreneurs. The names of some of the industrial establishments located in Manikganj including Manikganj BSCIC are: – Munnu Fabrics Ltd. (This industrial plant has been established at a place called Giland in Navgram Union of Manikganj Sadar Upazila), Akij Particles Ltd. (This industrial plant has been established at a place called Tara in Ghior Upazila of Manikganj district), Bashundhara Steel Complex Ltd. (Basundhara Steel Complex has been established at Gola Charkhand in Jagir Union of Sadar Upazila of Manikganj District. Also, Akiz Textile, Rising Knit Textile, Tarasima Apparel have been established in BSIC Industrial City. Medium Industries: Naeem Fabrics Ltd., Bangladesh Apparel Accessories Ltd., Royal Towels (Pvt. ) Ltd., Albatross Fabrics (Pvt.) Ltd., Kalam Cotton Enterprises, Yarn Concern Ltd., RTN Knitting Ltd., Atherton Imrex Co. Ltd., Bangladesh Agricultural Indra Ltd., Nisha Tological Indra Ltd., J&J Essential Products Ltd. (Unit- 2), Corbel International Ltd., Chishti P,V,C Indra: Ltd., J&J Essential Products Ltd., Corbel Chemical Indra: Ltd., Corbel Chemical Indra: Ltd. (E Unit-2), M/s Family Products Co. Ltd., Refrex (Pvt.) Ltd., Super Sign Indra (Electrical) Ltd., Nagar Garden (Pvt.) Ltd., Dhaka Food Products, Testi Food Products, Cornvit Food Products, Nasim Chemical & Food Works, Bangladesh Chemitax (Pvt) Ltd., Reliable Metal Indra: Ltd., Alumina (Pvt.) Ltd. and Brothers Engineering Works etc.

Dhamrai is also a BSCIC industrial city. This BSCIC industrial city has round-the-clock gas, water, electricity supply. First Dhamrai Bisik Industrial City was developed on 19 acres of land. At present, around 5 thousand workers are working in 72 factories in 104 plots in this industrial city. Bisik Shilpa Nagar at Dhamrai has already been extended/extended on another 12 acres of land. Another industrial city is being established on 500 acres of land in Kulla Union of Dhamrai. There are plans to make this industrial city an industrial megacity.

Industrial factory: Savar and Ashulia are known as garment industrial cities. Most of Bangladesh’s industries are located in Savar and Ashulia. Most of the fair demands of the workers involved in the garment industry have been realized through the movement, most of which have started from the garment industrial cities of Savar and Ashulia. Garment workers residence has been built under government management for garment workers with modern facilities in Ashulia. At present, Bangladesh’s largest export-oriented industry is the garment industry. The garment industry of Bangladesh started its journey in the sixties. However, in the late seventies, this industry began to develop as an export-oriented sector. The garment industry is more commonly known as readymade garments or RMG (Readymade Garments). The role of the garment sector in generating employment and earning foreign exchange is immense. BGMEA is the premier association of Bangladeshi garment industry owners. Another company for knitwear is BKMEA. Although Savar and Ashulia are known as garment industrial cities, there are many medium and heavy industrial establishments here.

Dhaka EPZ: Dhaka Export Processing Zone is a Special Economic Zone of Bangladesh. It is also known as Dhaka EPZ, DEPZ or Savar EPZ in short. It is located in Ganakbari area of Ashulia police station in Savar near Rajadhani Dhaka. This export processing zone was established in 1993 and In 1997, one more expansion zone/unit was added to it. Spread over an area of 356.22 acres, this EPZ is the 2nd largest export processing zone in Bangladesh.

Leather Industrial City: One of the most exportable industries of the country is leather and leather products. In 2017, under the leadership of BCIC, a leather industrial city was established at Hemayetpur, Savar, by shifting it from Dhaka’s Hazaribagh to a cost of Tk 1,150 million. From 1950 to 2017, Hazaribagh in the capital was the major address of the tannery industry. In 2003, the Ministry of Industries took up the Savar Leather Industrial City project to shift the tannery industry from Hazaribagh. LWG certificate is required for export of leather products in international market. The main condition for obtaining the certificate of the organization is that the tannery cannot pollute the environment, i.e., ensuring an environment-friendly industrial city. But due to not being able to reduce the level of environmental pollution, Savar leather industrial city has not yet become a member of LWG.

IEAB’s organizational Savar-Manikganj industrial division has industrial establishments/industrial plants of well-established industrial groups of companies/multi-national companies of the country. Eg: – Energy Pak Ltd., Berger Paints Bangladesh Ltd., Incepta Pharmaceuticals Ltd., Beximco Ltd., United Power Ltd., Mannu Ceramics Ltd., Akiz Group, Acme Group, Bengal Group, Clark Energy Ltd., Sarkar Steel, Buildtrade Group, Ifat Group, Sonotex Group, Pakija, Pride, Singer, Kazi Farm, Bashundhara Group etc. Day by day the industrial plants are expanding and increasing in this area. Savar, Ashulia, Dhamrai and Manikganj industrial zones continue to play an important role in the country’s economy. Also, various economic zones / industrial zones have been developed in Savar and Manikganj by government and private initiatives. For example: Manikganj Economic Zone (Shibalaya) and Arisha Economic Zone (Savar-Keranginj).

A number of industrial units have been formed under the Savar-Manaikganj Industrial Division with emphasis on industrial trade / industrial heritage / industrial concentration. Various sub-industrial units are formed under various industrial units. Industrial units are equivalent to district structure and sub-industrial units are equivalent to upazila structure.

The organizational structures under Savar-Manaikganj Industrial Division of IEAB are described below. For example: – 1. Manikganj District 2. Savar Industrial Unit 3. Dhamrai Industrial Unit 4. Ashulia Industrial Unit and 5. DEPZ Industrial Unit.

The organizational structures of Savar-Manaikganj Industrial Industrial Division of IEAB under District / Metropolitan / Industrial Units are described below. For example: –

The organizational structure of IEAB under Manikganj District includes: –
1. Ghior upazila 2. Daulatpur Upazila 3. Manikganj Sadar Upazila 4. Shivalay upazila 5. Saturia upazila 6. Singair Upazila 7. Harirampur Upazila 8. Manikganj Municipality and 9. Singair Municipality.

The organizational structure of IEAB under Savar Industrial Unit includes:
1. Savar Municipality 2. Bongaon, Tetuljhora & Vakurta Sub-Industrial Unit 3. Aminbazar & Kaundia Sub-Industrial Unit and 4. Birulia-Savar Sadar Union-Sub Indusria Unit.

The organizational structure of IEAB under Dhamrai Industrial Unit includes:
1. Dhamrai Municipality, 2. Dhamrai Sub-industrial Unit-1, 3. Dhamrai Sub-industrial Unit-2, 4. Dhamrai Sub-industrial Unit-3 and 5. Dhamrai Sub-industrial Unit-4.

The organizational structure of IEAB under Ashulia Industrial Unit includes: –
1. Ashulia Municipality, 2. Shimulia Sub-industrial Unit, 3. Dhamsona Sub-industrial Unit, 4. Yearpur Sub-industrial Unit, 5. Pathalia Sub-Industrial Unit, 6. Ashulia Union Sub-industrial Unit.

The organizational structure of IEAB under DEPZ Industrial Unit includes: –
1. DEPZ Sub-Industrial Unit-1, and 2. DEPZ Sub-Industrial Unit-1.