Industrial Engineers Association Of Bangladesh (IEAB)

 

খুলনা বিভাগ, আইইএবি

০৪ (চার) টি শিল্প বিভাগ এবং ১০ (দশ) টি সাধারণ বিভাগ মোট ১৪ (চৌদ্দ) টি সাংগঠনিক বিভাগের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশ ব্যাপী আইইএবি এর সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিব্যাপ্ত / পরিচালিত হচ্ছে। আইইএবি এর ১০ (দশ) টি সাধারণ সাংগঠনিক বিভাগের মধ্যে খুলনা বিভাগ আইইএবি এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ০১ (এক) টি সাধারণ সাংগঠনিক বিভাগ।

আইইএবি এর ১৪ ( চৌদ্দ) টি সাংগঠনিক বিভাগে আইইএবি এর জাতীয় প্রেসিডিয়াম কাউন্সিল থেকে ০১ ( এক ) জন করে সদস্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে আছেন। সেই মোতাবেক, খুলনা বিভাগের জন্য জাতীয় প্রেসিডিয়াম কাউন্সিল থেকে ০১ ( এক ) জন সদস্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে আছেন। খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং খুলনা বিভাগের ১২ (বার) টি সাংগঠনিক কাঠামো থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলরগণের সমন্বয়ে খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিটি (Divisional Committee) গঠিত হয়েছে / হবে। কাউন্সিলরদের মধ্যে একজন চীফ কাউন্সিলর থাকবে। খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডিয়াম সদস্য খুলনা বিভাগীয় কমিটির সভাপতির ভুমিকা পালন করবেন এবং খুলনা বিভাগের চীফ / প্রধান কাউন্সিলর খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের ভুমিকা পালন করবেন। খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৩(তের) জন। উল্লেখ্য যে, খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক কার্যক্রম বিশেষ তদারকি ও ত্বরান্বিত করতে আইইএবি এর জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি থেকে ০১ ( এক) জন সদস্য বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে আছেন / থাকবেন।

সংগঠনের পারম্ভিক অবস্থায় খুলনা বিভাগকে প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার তাঁর নিজ নেতৃত্বে গুছিয়ে খুলনা বিভাগকে আইইএবি এর সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী একটি বিভাগে রূপান্তর করেন। পরবর্তীতে কাজের সুষম বন্টরে জন্য আইইএবি এর ১৪(চৌদ্দ) টি সাংগঠনিক বিভাগে বিশেষ সাংগঠনিক তদারকি করতে জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির ০৫ (পাচঁ) জন সদস্যকে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত করে তাদের (জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যদের) মধ্যে বিভাগগুলো বন্টন করে দেওয়া হয়। জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির ০৪ (চার) সদস্যকে তিনটি করে বিভাগের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং একজন সদস্যকে দুইটি বিভাগের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়। জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিভাগগুলোর বিশেষ দায়িত্ব বন্টনের সময় প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার তার নিজ হাতে / নিজ নেতৃত্বে গুচ্ছানো খুলনা বিভাগ এর বিশেষ দাযিত্ব ছেড়ে দেন এবং এই বিশেষ দায়িত্ব জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির অপর সদস্য প্রকৌঃ মুহাম্মদ মশিউর রহমানকে প্রদান করেন এবং তাকে (প্রকৌঃ মুহাম্মদ মশিউর রহমানকে) খুলনা বিভাগ এর বিশেষ দায়িত্ব অর্পন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। উল্লেখ্য যে, প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার খুলনা বিভাগের বিভিন্ন সাংগঠনিক কাঠামো থেকে কাউন্সিলর গঠন করা পর্যন্ত বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। 

খুলনা বিভাগ সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী একটি বিভাগ। প্রকৌঃ মোঃ সিবলী নোমান খুলনা বিভাগ থেকে নির্বাচিত / মনোনীত প্রথম প্রেসিডিয়াম মেম্বার। প্রকৌঃ মোঃ সিবলী নোমান ব্যক্তিগত কারণে অব্যহতি নিলে পরবর্তীতে প্রকৌঃ মোঃ মিজানুর রহমান খুলনা বিভাগ থেকে প্রেসিডিয়াম মেম্বার নির্বাচিত / মনোনীত হন। অপরদিকে, প্রকৌঃ মোঃ আব্দুর রহমান খুলনা বিভাগ থেকে নির্বাচিত / মনোনীত প্রথম চীফ কাউন্সিলর। প্রকৌঃ আবদুর রহমান, প্রকৌঃ মো: রাকিবুল ইসলাম, প্রকৌঃ এইচ.এম. হোসেন কবির, প্রকৌঃ মোঃ ইয়ামিন হোসেন, প্রকৌঃ মোঃ হাবিবুল্লাহ হাবিব, প্রকৌঃ মোঃ গোলাম রসুল শেখ, প্রকৌঃ মোঃ খায়রুল ইসলাম, প্রকৌঃ মোঃ রাজু আহমেদ এবং প্রকৌঃ মোঃ তারেক হোসেন হলো আইইএবি এর ইতিহাসে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন কাঠামো থেকে নির্বাচিত / মনোনীত প্রথম কাউন্সিলর। খুলনা বিভাগের কাউন্সিলর প্রকৌঃ মোঃ রাকিবুল ইসলাম আইইএবি এর ইতিহাসে ইন্টারনাল এন্ড ইন্টান্যাশনাল পোর্টাল এর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সভাপতি নির্বাচিত / মনোনীত হন। খুলনা বিভাগের কাউন্সিলর প্রকৌঃ ইয়ামিন হোসেন আইইএবি এর ইতিহাসে পাবলিকেশন এন্ড পাবলিসিটি পোর্টাল এর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সদস্য সচিব নির্বাচিত / মনোনীত হন।

১৯৬০ সালে রাজশাহী বিভাগের খুলনা, কুষ্টিয়া, যশোর এবং ঢাকা বিভাগের বরিশাল জেলা কর্তন করে খুলনা বিভাগ গঠন করা হয়। ১৯৮৪ সালে খুলনা বিভাগের জেলার সংখ্যা ছিল ১৬টি। বরিশাল বিভাগ গঠিত হওয়ায় কারণে পরবর্তীতে খুলনা বিভাগ হতে ৬টি জেলা যথাক্রমে বরিশাল, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি ও বরগুনা কর্তন করা হয়। বর্তমানে খুলনা বিভাগের জেলার সংখ্যা ১০ টি।

খুলনা বিভাগ বাংলাদেশের আটটি বিভাগের মধ্যে একটি এবং এটি দেশের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থিত। ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পরে বাংলাদেশের বৃহত্তম শহর। খুলনা বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম স্থান খুলনা। নদী বন্দর, উন্নত সড়ক ও রেল যোগাযোগ এবং সমতল ভুমির কারণে এ শহরটি প্রসারিত হচ্ছে দ্রুতগতিতে। জনবসতি বৃদ্ধির সাথে সাথে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে খুলনার ভুমিকা অগ্রগামী। খুলনা বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে রূপসা নদী এবং ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশের প্রাচীনতম নদী বন্দরগুলোর মধ্যে খুলনা অন্যতম। খুলনা বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় খুলনা শহরকে শিল্প নগরী হিসেবে ডাকা হয়। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর খুলনা শহর থেকে ৪৮ কি.মি. দূরে খুলনা বিভাগের মংলায় অবস্থিত। পৃথিবী বিখ্যাত উপকূলীয় বন সুন্দরবন খুলনা বিভাগের দক্ষিণাংশে অবস্থিত। পৃথিবী বিখ্যাত উপকূলীয় বন সুন্দরবন খুলনা বিভাগের দক্ষিণাংশে অবস্থিত। খুলনা বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় সুন্দরবনের পরিব্যাপ্তী ঘটেছে। খুলনাকে সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার বলা হয়।[রাজধানী ঢাকা থেকে খুলনা শহরের দূরত্ব সড়কপথে ৩৩৩কি.মি.।

খুলনা বিভাগ এর পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সীমানা, উত্তরে রাজশাহী বিভাগ, পূর্বে ঢাকা বিভাগ ও বরিশাল বিভাগ এবং দক্ষিণে বিখ্যাত ম্যানগ্রোভ বন নামে পরিচিত সুন্দরবন সহ বঙ্গোপসাগরের উপর তটরেখা রয়েছে। এটি গঙ্গা নদীর দ্বীপ বা গ্রেটার বেঙ্গল ডেল্টার একটি অংশবিশেষ। অন্যান্য নদীর মধ্যে রয়েছে মধুমতি নদী, ভৈরব নদী ও কপোতাক্ষ নদী। এছাড়াও অঞ্চলের বঙ্গোপসাগরের কয়েকটি দ্বীপ রয়েছে।

হযরত পীর খাজা খানজাহান আলী (র.) স্মৃতি বিজড়িত ও ভৈরব-রূপসা বিধৌত খুলনার ইতিহাস-ঐতিহ্য গৌরব মন্ডিত। খুলনা নামকরণের উৎপত্তি নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত মতগুলো হচ্ছে- ধনপতি সওদাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী খুলনার নামে নির্মিত ‘খুলনেশ্বরী মন্দির’ থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি। ১৭৬৬ সালে ‘ফলমাউথ’ জাহাজের নাবিকদের উদ্ধারকৃত রেকর্ডে লিখিত Culnea শব্দ থেকে খুলনা। অনেক বিজ্ঞজনের মতে ‘কিসমত খুলনা’ মৌজা থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি হয়েছে।  বৃটিশ আমলের মানচিত্রে লিখিত Jessore-Culna শব্দ থেকে খুলনা এসেছে বলেও অনেকের ধারণা।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা মেডিকেল কলেজ, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ, সরকারি বি. এল. কলেজ এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সহ অনেক ধনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভাগে অবস্থিত। যশোর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, মাগুরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, খুলনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, খুলনা মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, মাগুরা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ, বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই বিভাগে রয়েছে।

বৃহত্তর খুলনা জেলায় শত শত বছর আগে ইসলাম প্রচারক ও মুসলিম শাসক কর্তাদের আগমনের সাথে সাথে তাঁরা অনেক মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। এ মসজিদগুলোর নির্মাণ কৌশল চমৎকার তাছাড়া স্থাপনা শিল্পের এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত। এগুলোকে প্রাচীন মসজিদ বলা হয়। খুলনা বিভাগের প্রাচীনতম মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতমঃ আরশ নগরের মসজিদ, আলাইপুরের মসজিদ, চিংড়া মসজিদ,  বায়তুন নূর মসজিদ ইত্যাদি।

প্রকৃতির অপূর্ব লীলাভূমি খুলনা বিভাগ। বিচিত্র তার রূপ। প্রাচীন র্কীতিরাজি আর প্রত্ন সম্পদে ভরপুর খুলনা। খুলনা জেলায় হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলিম আমলের অনেক পুরাকীর্তি ছিল। কালের বিবর্তনে অনেক কীর্তি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। হিন্দু কীর্তির মধ্যে রয়েছে- মহেশ্বরপাশার জোড়া মন্দির, যাতার দোল, কপিলেশ্বরী মন্দির, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র-পুরুষের বাড়ি ও বিশ্বকবির শ্বশুর বাড়ি প্রভৃতি। মুসলিম পুরাকীর্তির মধ্যে আছে- মিছরী দেওয়ান শাহের মাজার, মুক্তেশ্বরী গ্রামের দীঘি, সরল খাঁর দীঘি, মহারাজপুরের কীর্তি, প্রভৃতি।

খান জাহান আলী, সাহিত্যিক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, মৃণালিনী দেবী – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর স্ত্রী,কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী,  ফকির লালন শাহ, কবি ফররুখ আহমদ,  কবি ফররুখ আহমদ, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত,  বীরশ্রেষ্ট নূর মোহাম্মদ, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান সহ অনেক  গুণী ও প্রখ্যাত ব্যক্তিবর্গ এই বিভাগের সন্তান হয়ে খুলনা বিভাগকে সমৃদ্ধ  করেছেন।

বাংলাদেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর খুলনা বিভাগে অবস্থিত। এই স্থলবন্দর এর নাম ”বেনাপোল স্থলবন্দর”। এই স্থলবন্দরটি যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বেনাপোল শহরে অবস্থিত।  এই বন্দরটি বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতের সাথে রপ্তানি-আমদানি করতে ব্যবহৃত হয়। এই বন্দরটি বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত। আমদানিকৃত ভারতীয় পণ্যগুলির মধ্যে প্রায় ৯০% এই বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

বহুল আলোচিত রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার রামপালে অবস্থিত একটি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। রামপালে ভারতের ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (BPDB), ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাচালিত তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের (মৈত্রী পাওয়ার প্ল্যান্টের) ইউনিট-১ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদি।

মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাঃ   ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা প্রাপ্তি বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। এ যুদ্ধে খুলনা বিভাগের মানুষের অবদানও কম ছিল না। যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে স্বাধীনতার রক্তসূর্য ছিনিয়ে আনার সংকল্প নিয়ে এখানকার হাজার হাজার মানুষ তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছে। তাঁরা তাঁদের জীবনের বিনিময়ে পরম প্রার্থিত প্রাণপ্রিয় স্বাধীনতা উপহার দিয়ে যান। খুলনা বিভাগের মুক্তিযুদ্ধ সার্বিক মুক্তিযুদ্ধের সাথে বিচ্ছিন্ন কোন ব্যাপারও নয়। তবু সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একই সূত্রে গ্রথিত হলেও এ এলাকার লড়াইয়ের নিজস্ব একটা স্বকীয়তা রয়েছে। ভৌগলিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে শত্রুপক্ষের হামলা ও তার প্রতিরোধ প্রচেষ্টার মধ্যে কোন কোন ক্ষেত্রে স্বাতন্ত্র্য থাকাই স্বাভাবিক। খুলনা জেলার বড় অংশ ছিল নবম সেক্টরভুক্ত।

সুন্দরবনঃ বৃহত্তর খুলনা বিভাগ প্রাকৃতি সম্পদে সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ‘গরান’ বনভূমি সুন্দরবন এ বিভাগে অবস্থিত। এ বিভাগের দক্ষিণাংশ জুড়ে সুন্দরবনের অবস্থান। সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম ‘‘ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট’বা লবনাক্ত জলাভূমির বন। পৃথিবীতে এটি একটি বিরল জাতির বন। এ বনটি বিশ্ববিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসভূমি। এ বন থেকে প্রচুর রাজস্ব আয় হয়। এ বন খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা প্রভৃতি জেলাকে প্রলয়ঙ্করী ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করে।

সুন্দরবন সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি হিসেবে অখন্ড বন যা বিশ্বে সর্ববৃহৎ। অববাহিকার সমুদ্রমুখী সীমানা এই বনভূমি গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মোহনায় অবস্থিত এবং বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিস্তৃত। ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে। সুন্দরবন ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী’ স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। সুন্দরবনের পুরোটাই যেন অজানা রূপ-রহস্য আর রোমাঞ্চে ভরা। বিশ্বের বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনের বাসিন্দা ভয়ঙ্কর সুন্দর বেঙ্গল টাইগার কিংবা বিষধর সাপ শক্মখচূড়া। আরও আছে জলের বাসিন্দা কুমির, ডলফিন, হাঙ্গর, বিরল প্রজাতির কচ্ছপ ও পাখ-পাখালির দল। সুন্দরবনের শক্মখচূড়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিষধর সাপ। এ সাপ ভারতের কেরালা থেকে শুরু করে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া হয়ে ফিলিপাইন পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের ঘন জঙ্গলে দেখতে পাওয়া যায়। ওজনে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পাইথন সুন্দরবনে পাওয়া যায়। তবে সংখ্যায় অত্যন্ত কম। কুমিরের ৩৬ প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বড় ইন্দোপ্যাসিফিক খাঁড়ির কুমির। এ কুমিরের কিছু সুন্দরবনে এখনো বেঁচে আছে। এদের দু-একটি শিকারিদের এড়িয়ে এখনোটিকে আছে যেগুলোর আকার দুঃস্বপ্নে দেখা অতিকায় ডাইনোসরের মতো। সুন্দরবনের গাছের মধ্যে আছে সুন্দরী, গরান, ধুন্ধল, কেওড়া প্রভৃতি।

নদ-নদী, খাল-বিল, সাগর-অরণ্যানী বেষ্টিত খুলনা বিভাগ। সোনাই, ইছামতি, কালিন্দি, হাড়িয়াডাঙ্গা ও রায়মঙ্গল নদী, যশোরের শার্শা, সাতক্ষীরার কলারোয়া, দেবহাটা, কালিগঞ্জ, শ্যামনগর ও সুন্দরবনের সাথে ভারতের মধ্যকার আন্তর্জাতিক বিভাজন রেখা অতিক্রম করে হারিয়ে গেছে সুন্দরবনের গহীন অরণ্যে ও বঙ্গোপসাগরে। বলা যায় পদ্মা, মধুমতি, বলেশ্বর, সোনাই, ইছামতি, কালিন্দি, হাড়িয়াভাঙ্গা ও রায়মঙ্গল নদীর মধ্যবর্তী এলাকায় দশটি জেলা আর বিশ্বঐতিহ্যবাহী চিরসবুজ অনুপম ঐশ্বর্য্য ও সৌন্দর্য্যমন্ডিত ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের অধিকাংশ নিয়েই বর্তমান খুলনা বিভাগের অবস্থান।

শিল্পঃ একসময় খুলনা শিল্পশহর হিসাবে বিখ্যাত হলেও বর্তমানে এখানকার বেশিরভাগ শিল্পই রুগ্ন। পূর্বে খুলনাতে দেশের একমাত্র নিউজপ্রিন্ট ও হার্ডবোর্ড মিল ছিল যা এখন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। খুলনার বেশির ভাগ পাটকলগুলোও একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে খুলনার উল্লেখযোগ্য শিল্প হল বেসরকারী উদ্যোগে গড়ে ওঠা রপ্তানীযোগ্য মাছ শিল্প। খুলনাকে এক সময় বলা হত রুপালি শহর। এর কারন এই এলাকাতে প্রচুর পরিমাণ চিংড়ী উৎপাদন করা হত। এখনও হয়, যদিও কিছুটা কমে গেছে। আপনি খুলনার দৌলতপুরের মহসিন মোড় থেকে যতই পথ অতিক্রম করতে থাকবেন ততই দেখতে থাকবেন রাস্তার দূ ধার দিয়ে শুধু বিল আর মাছের ঘের। এখানকার উল্লেখযোগ্য মাছ চাষকারী প্রতিষ্ঠান হলো জনতা সমবায় সমিতি লিঃ। এসব ঘেরে সাদা মাছের সাথে চাষ হয় প্রচুর চিংড়ী এবং খুলনার পাইকগাছা , দাকোপ , কয়রা উপজেলাতে লোনা পানি ঘের দেখা যায় সেখানে প্রচুর পরিমানে বাগদা চিংড়ি হয়।

উন্নত সড়ক, নৌ ও রেল যোগাযোগের কারণে গত শতাব্দীর ৫০’এর দশকে খুলনায় একের পর এক শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠতে থাকে। ১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে মাত্র ১৭ বছরে দৌলতপুর জুট মিল্স লিঃ, প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিল্স লিঃ, ষ্টার জুট মিল্স লিঃ, ক্রিসেন্ট জুট মিল্স লিঃ, পিপলস জুট মিল্স লিঃ, এ্যাজাক্স জুট মিল্স লিঃ, সোনালী জুট মিল্স লিঃ, মহসিন জুট মিল্স লিঃ, আলীম জুট মিল্স লিঃ, ইষ্টার্ণ জুট মিল্স লিঃ ও আফিল জুট মিল্স লিঃ, নিউজপ্রিন্ট মিল্স, হার্ডবোর্ড মিল্স, কেবল ফাক্টরি, টেক্সটাইল মিল্স, দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরি, শিপইয়ার্ড, ডকইয়ার্ড, জুট বেলিং প্রেসসহ সরকারি বেসরকারি বহু শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। এছাড়া স্বাধীনতার পর সাদা সোনা চিংড়ি ও সাধা মাছ চাষের ফলে খুলনাতে গড়ে উঠেছে অর্ধ শতাধিক মাছ কোম্পানি। এসব শিল্প কলকারখানায় হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। শিল্প নগরী খুলনা শিল্প খ্যাতে আবারো ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি জুটমিলসহ শিল্প প্রতিষ্ঠান। খুলনা শিপইয়ার্ড লোকসান কাটিয়ে উঠে এখন লাভ করছে। ইতিমধ্যে এখানকার তৈরি যুদ্ধ জাহাজ বাংলাদেশ নৌ বাহিনী ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া জাহাজ রফতানির জন্য বিদেশের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে খুলনা শিপইয়ার্ড। এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটি এখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মংলা সমুদ্র বন্দর খুলনা বিভাগকে অর্থনৈকিতভাবে  সমৃদ্ধ করেছে। মংলাকে খুলনার বন্দরনগরীও বলা হয়।

খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলাতে সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চল / শিল্প অঞ্চল করার ঘোষণা দিয়েছে। সেসব অর্থনৈতিক অঞ্চল / শিল্প অঞ্চল এর কাজগুলো বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন /বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। যেমনঃ মংলা ইকোনমিক জোন, মংলা স্পেশাল ইকোনমিক জোন ( ইন্ডিয়ান স্পেশাল ইকোনমিক জোন), কুষ্টিয়া ইকোনমিক জোন ( ইন্ডিয়ান ইকোনমিক জোন), সুন্দরবন ট্যুরিজম পার্ক, খুলনা ইকোনমিক জোন-১, বটিয়াঘাটা; খুলনা ইকোনমিক জোন-২, তেরখাদা; রামপাল ইকোনমিক জোন এবং বেসরকারী উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত উকোনমিক জোন হলো “ ফামকাম ইকোনমিক জোন, বাগেরহাট, রামপাল”।    

মংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। সংক্ষেপে ‘মংলা ইপিজেড’, বা, ‘খুলনা ইপিজেড’ নামেও পরিচিত। এই রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলটি ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত হয়। ২৫৫.৪১ একর এলাকার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই ইপিজেডটি বাংলাদেশের ৫ম বৃহত্তম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা। খুলনা বিভাগের  মংলায় রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) স্থাপনের মাধ্যমে শিল্প খ্যাতে খুলনা বিভাগ আরো সমৃদ্ধ হয়েছে। খুলনা বিভাগের যশোর জেলায় রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ( ইপিজেড) স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন। ইন্ডাস্ট্রিটিয়াল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশ অব বাংলাদেশ (আইইএবি) পরিবার মংলা সদর উপজেলা এবং মংলা ইপিজেডকে সমন্বয় করে আলাদা একটা সাংগঠনিক শিল্প ইউনিট ঘোষণা করেছে। শিল্প ইউনিটের অধীনে বিভিন্ন উপ-শিল্প ইউনিট গঠন করা হয়েছে। শিল্প ইউনিট গুলো জেলা কাঠামোর সমমান এবং উপ-শিল্প ইউনিটগুলো উপজেলা কাঠামোর সমমান।

আইইএবি এর খুলনা বিভাগের অধীনস্ত সাংগঠনিক কাঠামোগুলো নিন্মে বর্ণিত হলো যেমনঃ ১। খুলনা জেলা, ২। খুলনা মহানগর ৩। মাগুরা জেলা ৪। যশোর জেলা ৫। চুয়াডাঙ্গা জেলা ৬। বাগেরহাট জেলা ৭। এমইপিজেড- মংলা উপজেলা শিল্প ইউনিট ৮। নড়াইল জেলা ৯। মেহেরপুর জেলা ১০। কুষ্টিয়া জেলা ১১। ঝিনাইদহ জেলা এবং ১২। সাতক্ষীরা জেলা।

আইইএবি এর খুলনা বিভাগের জেলা / মহানগর / শিল্প ইউনিটগুলোর এর অধীনস্ত সাংগঠনিক কাঠামোগুলো নিন্মে বর্ণিত হলো। যেমনঃ-

খুলনা জেলা এর অধীনস্ত আইএবি এর সাংগঠনিক কাঠামো সমুহঃ

১। ডুমুরিয়া উপজেলা, ২। বটিয়াঘাটা উপজেলা ৩। দাকোপ উপজেলা ৪। দাকোপ পৌরসভা ৫। চালনা পৌরসভা ৬। ফুলতলা উপজেলা ৭। দিঘলিয়া উপজেলা ৮। কয়রা উপজেলা ৯। তেরখাদা উপজেলা ১০। রূপসা উপজেলা ১১। পাইকগাছা উপজেলা এবং ১২। পাইকগাছা পৌরসভা।

খুলনা মহানগর এর অধীনস্ত আইএবি এর সাংগঠনিক কাঠামো সমুহঃ

১। জোন-১ (খান জাহান আলী থানা), ২। জোন-২ (দৌলতপুর থানা), ৩। জোন-৩ (সোনাডাঙ্গা থানা), এবং ৪। জোন-৪ (খালিশপুর থানা) ।

মাগুরা জেলা এর অধীনস্ত আইএবি এর সাংগঠনিক কাঠামো সমুহঃ

১। মাগুরা সদর উপজেলা, ২। মাগুরা পৌরসভা ৩। শালিখা উপজেলা ৪। শ্রীপুর উপজেলা এবং ৫। মোহাম্মদপুর উপজেলা।

যশোর জেলা এর অধীনস্ত আইএবি এর সাংগঠনিক কাঠামো সমুহঃ

১। যশোর সদর উপজেলা, ২। যশোর পৌরসভা ৩। নোয়াপাড়া পৌরসভা ৪। ঝিকরগাছা উপজেলা ৫। ঝিকরগাছা পৌরসভা ৬। মণিরামপুর উপজেলা ৭। মণিরামপুর পৌরসভা ৮। বাঘেরপাড়া উপজেলা ৯। বাঘেরপাড়া পৌরসভা ১০। অভয়নগর উপজেলা ১১। অভয়নগর পৌরসভা ১২। কেশবপুর উপজেলা ১৩। কেশবপুর পৌরসভা ১৪। শার্শা উপজেলা ১৫। শার্শা পৌরসভা ১৬। বেনাপোল পৌরসভা ১৭। চৌগাছা উপজেলা এবং ১৮। চৌগাছা পৌরসভা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা এর অধীনস্ত আইএবি এর সাংগঠনিক কাঠামো সমুহঃ

১। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ২। আলমডাঙ্গা উপজেলা ৩। দামুড়হুদা উপজেলা ৪। জীবননগর উপজেলা ৫। জীবননগর পৌরসভা ৬। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ৭। দর্শনা পৌরসভা ৮। আলমডাঙ্গা পৌরসভা এবং ৯। জীবননগর পৌরসভা।

বাগেরহাট জেলা এর অধীনস্ত আইএবি এর সাংগঠনিক কাঠামো সমুহঃ

১। বাগেরহাট সদর উপজেলা ২। বাগেরহাট পৌরসভা ৩। চিতলমারী উপজেলা ৪। মোল্লাহাট উপজেলা ৫। শরণখোলা উপজেলা ৬। রামপাল উপজেলা ৭। ফকিরহাট উপজেলা ৮। মোরেলগঞ্জ উপজেলা ৯। মোরেলগঞ্জ পৌরসভা এবং ১০। কচুয়া উপজেলা।

এমইপিজেড– মংলা উপজেলা শিল্প ইউনিট এর অধীনস্ত আইএবি এর সাংগঠনিক কাঠামো সমুহঃ-

১। মংলা উপজেলা, ২। মংলা পৌরসভা এবং ৩। মংলা ইপিজেড উপ-শিল্প ইউনিট।

নড়াইল জেলা এর অধীনস্ত আইএবি এর সাংগঠনিক কাঠামো সমুহঃ

১। নড়াইল সদর উপজেলা, ২। নড়াইল পৌরসভা ৩। লোহাগড়া উপজেলা ৪। লোহাগড়া পৌরসভা ৫। কালিয়া উপজেলা এবং ৬ কালিয়া পৌরসভা।

মেহেরপুর জেলা এর অধীনস্ত আইএবি এর সাংগঠনিক কাঠামো সমুহঃ

১। মেহেরপুর সদর উপজেলা, ২। মেহেরপুর সদর উপজেলা ৩। মুজিবনগর উপজেলা ৪। গাংনী উপজেলা এবং ৫। গাংনী পৌরসভা।

কুষ্টিয়া জেলা এর অধীনস্ত আইএবি এর সাংগঠনিক কাঠামো সমুহঃ

১। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ২। কুষ্টিয়া পৌরসভা ৩। মিরপুর উপজেলা ৪। মিরপুর পৌরসভা ৫। খোকসা উপজেলা ৬। খোকসা পৌরসভা ৭। ভেড়ামারা উপজেলা ৮। ভেড়ামারা পৌরসভা ৯। কুমারখালী উপজেলা ১০। কুমারখালী পৌরসভা এবং ১১। দৌলত উপজেলা।

ঝিনাইদহ জেলা এর অধীনস্ত আইএবি এর সাংগঠনিক কাঠামো সমুহঃ

১। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ২। ঝিনাইদহ পৌরসভা ৩। শৈলকুপা উপজেলা ৪। শৈলকুপা পৌরসভা ৫। হরিণাকুন্ড উপজেলা ৬। হরিণাকুন্ড পৌরসভা ৭। মহেশপুর উপজেলা ৮। মহেশপুর পৌরসভা ৯। কোটচাঁদপুর উপজেলা ১০। কোটচাঁদপুর পৌরসভা ১১। কালীগঞ্জ উপজেলা এবং ১৩। কালীগঞ্জ পৌরসভা।

সাতক্ষীরা জেলা এর অধীনস্ত আইএবি এর সাংগঠনিক কাঠামো সমুহঃ

১। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ২। সাতক্ষীরা পৌরসভা ৩। শ্যামনগর উপজেলা ৪। আশাশুনি উপজেলা ৫। কালীগঞ্জ উপজেলা ৬। দেবহাটা উপজেলা ৭। কলারোয়া উপজেলা ৮। কলারোয়া পৌরসভা এবং ৯। তালা উপজেলা।

Khulna Division, IEAB

The organizational activities of IEAB are being carried out all over Bangladesh through 04 (four) industrial divisions and 10 (ten) general divisions totaling 14 (fourteen) organizational divisions. Among the 10 (ten) General Organizational Divisions of IEAB, Khulna Division is one of the Important General Organizational Divisions of IEAB.

14 (fourteen) organizational divisions of IEAB have 01 (one) members as incumbents from the National Presidium Council of IEAB. Accordingly, 01 (one) member from National Presidium Council for Khulna division is in charge. The Divisional Committee of Khulna Division has been/will be formed by the presidium members in charge of Khulna Division and councilors selected from 12 (twelve) organizational structures of Khulna Division. Among the Councilors there will be a Chief Councilor. The presidium member in charge of Khulna Division will play the role of President of Khulna Divisional Committee and Chief/Principal Councilor of Khulna Division will play the role of General Secretary of Khulna Divisional Committee. The number of members of the Divisional committee of Khulna Division is 13(Thirteen). It is noted that 01 (one) member from the National Steering Committee of IEAB is specially assigned to supervise and accelerate the organizational activities of Khulna Division.

In the initial stages of the organization, Engr. Jahangir Alam Tushar organized Khulna Division under his own leadership and transformed Khulna Division into an organizationally strong division of IEAB. Later, 05 (five) members of the National Steering Committee were given special responsibility to carry out special organizational supervision in the 14 (fourteen) organizational divisions of IEAB for a balanced distribution of work and the divisions were distributed among them (members of the National Steering Committee). 04 (four) members of the National Steering Committee are given special responsibility for three divisions each and one member is given special responsibility for two divisions. During the distribution of special responsibilities of the divisions among the members of the National Steering Committee, Engr. Jahangir Alam Tushar left the special responsibility of the Khulna division arranged under his own hands / under his own leadership and gave this special responsibility to another member of the National Steering Committee, Engr. Muhammad Moshiur Rahman and an office circular was issued assigning him (Engr. Muhammad Moshiur Rahman) the special responsibility of Khulna Division. It should be noted that Engr. Jahangir Alam Tushar was in charge of various organizational structures of Khulna Division until the formation of Councilors.

Khulna division is an organizationally strong division. Engr. Md. Sible Noman is the first elected / nominated presidium member from Khulna division. After Engr. Md. Sible Noman took leave due to personal reasons, then Engr. Md. Mizanur Rahman was elected/nominated Presidium Member from Khulna Division. On the other hand, Engr Md. Abdur Rahman is the first elected/nominated Chief Councilor from Khulna Division. Engr. Abdur Rahman, Engr. Md. Rakibul Islam, Engr. HM. Hussain Kobir, Engr. Md. Eamin Hossain, Engr. Md. Habibullah Habib, Md. Golam Rasul Shiakh, Engr. Md. Khairul Islam, Md. Razu Ahmed and Md Tarek Hossen are the first elected / nominated Councilors from various structures of Khulna Division in the history of IEAB. Khulna Division’s Councilor Engr. Md. Rakibul Islam was elected / nominated as the first President of Central Committee of Internal and International Portal in the history of IEAB. Khulna Division’s Councilor Engr. Eamin Hossain was elected/nominated as the first Member Secretary of the Central Committee of Publication and Publicity Portal in the history of IEAB.

In 1960, Khulna Division was formed by cutting Khulna, Kushtia, Jessore from Rajshahi Division and by cutting Barisal districts from Dhaka Division. In 1984 the number of districts in Khulna Division was 16. Due to the formation of Barisal division, 6 districts of Barisal, Pirojpur, Patuakhali, Bhola, Jhalkathi and Barguna respectively were cut from Khulna division. Currently the number of districts in Khulna division is 10.

Khulna Division is one of the eight divisions of Bangladesh and is located in the southwestern part of the country. It is the largest city in Bangladesh after Dhaka and Chittagong. Khulna is the third largest city in Bangladesh. Khulna is one of the business centers of the country. The city is expanding rapidly due to river ports, improved road and rail connectivity and flat land. Along with the increase in population, Khulna’s role in the economic development of the country is pioneering. Khulna is located on the banks of the Rupsa River and the Bhairab River in the southwestern part of Bangladesh. Khulna is one of the oldest river ports in Bangladesh. As Khulna is one of the industrial and commercial areas of Bangladesh, Khulna city is called as industrial city. 48 km from Khulna city, the second sea port of Bangladesh. Located in Mangla of Khulna Division. The world-famous coastal forest Sundarbans is located in the southern part of Khulna Division. Sundarbans is spread over Khulna, Bagerhat and Satkhira districts of Khulna division. Khulna is called the gateway to the Sundarbans. [The distance from capital Dhaka to Khulna city is 333 km by road.]

Khulna Division is bordered by the state of West Bengal to the west, Rajshahi Division to the north, Dhaka Division and Barisal Division to the east, and the Bay of Bengal with the famous mangrove forest known as the Sundarbans to the south. It is a part of the Ganges River Islands or Greater Bengal Delta. Other rivers include Madhumati River, Bhairav River and Kapotaksha River. The region also has a few islands in the Bay of Bengal.

The memory of Hazrat Pir Khwaja Khanjahan Ali (RA) is ennobled and the history-heritage of Khulna is glorified by Bhairab-Rupsa Vidhaut. There is disagreement about the origin of the name Khulna. But the most discussed views are the origin of the name Khulna from the ‘Khulneswari Mandir’ built in the name of Khulna, the second wife of Dhanpati Saudagar. Khulna from the word Culnea written in the records recovered by the sailors of the ship ‘Falmouth’ in 1766. According to many scholars, the name Khulna is derived from ‘Kismat Khulna’ Mauza. Many believe that Khulna comes from the word Jessore-Culna written on the British period map.

Many prestigious educational institutions including Khulna University, Khulna Engineering and Technology University, Jessore Science and Technology University, Khulna Medical College, Jhenaidah Cadet College, Jhenaidah Cadet College are located in the department.

Jessore Polytechnic Institute, Magura Polytechnic Institute, Khulna Polytechnic Institute, Khulna Women’s Polytechnic Institute, Jhenaidah Polytechnic Institute, Kushtia Polytechnic Institute, Satkhira Polytechnic Institute, Magura Technical School and College, BCMC College of Engineering and Technology are located in this division.

Hundreds of years ago, with the arrival of Islamic preachers and Muslim rulers in Greater Khulna District, they built many mosques. The construction technique of these mosques is excellent and considered as a unique example of construction art. These are called ancient mosques. Among the oldest mosques in Khulna division are Arash Nagar Mosque, Alaipur Mosque, Chingra Mosque, Baitun Noor Mosque etc.

The Sundarbans is the largest intact mangrove forest in the coastal saline environment which is the largest in the world. The seaward boundary of the basin lies at the estuaries of the Ganges and Brahmaputra and extends across Bangladesh and West Bengal, India. The Sundarbans, spread over 10,000 square kilometers, has 6,17 square kilometers in Bangladesh. Sundarbans was recognized as a UNESCO ‘World Heritage’ site in 1997. The entire Sundarbans is full of unknown forms, mysteries and thrills.

Khulna Division is a beautiful natural landscape. His form is strange. Khulna is rich in ancient architecture and antiquities. Khulna district has many antiquities from Hindu, Buddhist and Muslim periods. Many feats have disappeared in the course of time. Hindu landmarks include Maheswarpasha’s Jora Temple, Jatar Dol, Kapileswari Temple, the home of poet Rabindranath Tagore’s son and father-in-law, etc. Among the Muslim antiquities are – the shrine of Michari Dewan Shah, the Dighi of Mukteswari village, the Saral Khan Dighi, the Kirti of Maharajpur, etc.

Khan Jahan Ali, writer Mohammad Lutfar Rahman, Mrinalini Devi – Rabindranath Tagore’s wife, poet Jatindramohan Bagchi, Fakir Lalon Shah, poet Farrukh Ahmad, poet Farrukh Ahmad, great poet Michael Madhusudan Dutta, Bir Shrestha Noor Mohammad, Bir Shrestha Hamidur Rahman, etc. Individuals have enriched Khulna Division by being children of this division.

The largest land port of Bangladesh is located in Khulna Division. The name of this land port is “Benapole Land Port”. This land port is located in Benapole town of Sharsha upazila of Jessore district. This port is used for export-import with India through Benapole-Petrapole border. This port is managed by Bangladesh Land Port Authority. About 90% of the imported Indian goods enter Bangladesh through this port.

The much-discussed Rampal Power Project is a coal-fired thermal power plant located at Rampal in Bagerhat district of Khulna division. The Bangladesh Power Development Board (BPDB), a state-owned company of Bangladesh, is implementing the project to generate 1,320 MW of electricity in collaboration with the National Thermal Power Company of India at Rampal. Prime Minister Sheikh Hasina and Indian Prime Minister Narendra Modi jointly inaugurated Unit-1 of 1,320 MW Super Critical Coal Fired Thermal Power Plant (Maitri Power Plant).

Liberation War and Freedom Fighters: The liberation war of 1971 and the attainment of independence is the greatest achievement of the Bengali nation in a thousand years. The contribution of the people of Khulna division was not less in this war. When the war started, thousands of people here jumped into it with the determination to snatch away the blood sun of freedom. They fought bravely despite the limitations. In exchange for their lives, they gave the dearly desired freedom. Khulna division’s liberation war is not an isolated issue with the overall liberation war. However, although the liberation war of Bangladesh is based on the same formula, the struggle in this area has its own identity. In the context of geographical conditions, it is natural that there is some distinction between the enemy’s attack and his resistance efforts. Major part of Khulna district belonged to the ninth sector.

Sundarbans: Greater Khulna division is rich in natural resources. The Sundarbans, the largest ‘Garan’ forest in Bangladesh, is located in this section. The location of Sundarbans across the southern part of this division. Sundarbans is the world’s largest “mangrove forest” or salt marsh forest. It is a rare species of forest in the world. This forest is home to the world-famous Royal Bengal Tiger. A lot of revenue is generated from this forest. This forest protects districts like Khulna, Bagerhat, Satkhira, Patuakhali, Barguna, Barisal, Bhola etc. from dangerous cyclones and floods.

The world’s largest mangrove forest is inhabited by the terrifyingly beautiful Bengal tiger or the poisonous snake Shakmakhchura. There are also water-dwelling crocodiles, dolphins, sharks, rare species of turtles and groups of birds. The Sundarbans snake is the world’s largest venomous snake. This snake can be found in the dense rain forest from Kerala in India to the Philippines through Myanmar, Thailand, Malaysia. The world’s second largest python by weight is found in the Sundarbans. But very few in number. Indo-Pacific crocodile is the largest of the 36 species of crocodiles. Some of these crocodiles are still alive in the Sundarbans. A couple of them still survive, avoiding predators that are the size of gigantic dinosaurs seen in nightmares. Among the trees of Sundarbans are Sundari, Garan, Dhundhal, Keora etc.

Khulna Division is surrounded by rivers, canals, seas and forests. The Sonai, Ichamati, Kalindi, Hariyadanga and Raimangal rivers, Sharsha in Jessore, Kalaroa in Satkhira, Debhata, Kaliganj, Shyamnagar and the Sundarbans cross the international dividing line between India and are lost in the dense forests of the Sundarbans and the Bay of Bengal.It can be said that the present Khulna division is located in the area between Padma, Madhumati, Baleshwar, Sonai, Ichamati, Kalindi, Hariyabhanga and Raimangal rivers and most of the world heritage evergreen mangrove Sundarbans of unparalleled richness and beauty.

Industry: Khulna was once famous as an industrial city, but now most of the industries here are stagnant. Earlier Khulna had the country’s only newsprint and hardboard mill which has now been declared closed. Most of the jute mills in Khulna are also closing down one after another. At present, the significant industry of Khulna is the exportable fish industry developed by private enterprises. Khulna was once called the silver city. This is because a lot of shrimps were produced in this area. Still occurs, although somewhat reduced. As you cross the road from Mohsin Mor, Daulatpur, Khulna, you will see only bill and fish cages on both sides of the road. The notable fish farming company here is Janata Sambaya Samiti Ltd. A lot of prawns are cultivated in these enclosures along with white fish and brackish water enclosures are seen in Paikgacha, Dakop, Koira upazilas of Khulna, there are large quantities of Bagda shrimps.

In the 50s of the last century, due to the improved road, sea and rail communication, one industrial factory was established in Khulna. In just 17 years between 1954 and 1971 Daulatpur Jute Mills Ltd., Platinum Jubilee Jute Mills Ltd., Star Jute Mills Ltd., Crescent Jute Mills Ltd., People’s Jute Mills Ltd., Ajax Jute Mills Ltd., Sonali Jute Mills Ltd., Mohsin Jute Mills Ltd., Alim Jute Mills Ltd., Eastern Jute Mills Ltd. and Afil Jute Mills Ltd., Newsprint Mills, Hardboard Mills, Cable Factory, Textile Mills, Dada Match Factory, Shipyard, Dockyard, Jute Baling Press and many public and private industries were established. Apart from this, more than half a hundred fish companies have been established in Khulna as a result of white gold shrimp and white fish farming after independence. Thousands of people are employed in these industries. The industrial city of Khulna has started to turn around once again in its industrial reputation. Several industries including jute mills have already been established by private initiative. Khulna Shipyard has recovered from losses and is now turning a profit. The warships built here have already been handed over to Bangladesh Navy and Bangladesh Army. Besides, Khulna Shipyard has contracted with foreign countries for ship export. This industry is now playing an important role in the economic development of the country. The country’s second largest Mongla sea port has financially enriched the Khulna division. Mongla is also called the port city of Khulna.

Government has announced Economic Zones / Industrial Zones in various districts of Khulna Division. Those Economic Zones / Industrial Zones are currently in process / under implementation. Such as: Mongla Economic Zone, Mongla Special Economic Zone (Indian Special Economic Zone), Kushtia Economic Zone ( Indian Economic Zone), Sundarban Tourism Park, Khulna Economic Zone-1, Batiaghata; Khulna Economic Zone-2, Terkhada; Rampal Economic Zone and Economic Zone established by private enterprise is “Famkam Economic Zone, Bagerhat, Rampal”.

Mongla Export Processing Zone is a Special Economic Zone of Bangladesh. Also known as ‘Mongla EPZ’ for short, or, ‘Khulna EPZ’. This Export Processing Zone was established in 1999 AD. Spread over an area of 255.41 acres, this EPZ is the 5th largest export processing zone in Bangladesh. Khulna Division has become more prosperous in terms of industry with the establishment of Export Processing Zone (EPZ) in Mongla of Khulna Division. Establishment of Export Processing Zone (EPZ)  is in progress in Jessore District of Khulna Division. The Industrial Engineers Association of Bangladesh (IEAB) family has declared a separate organizational industrial unit combining Mongla Sadar Upazila and Mongla EPZ. Various sub-industrial units are formed under industrial units. Industrial units are equivalent to district structure and sub-industrial units are equivalent to upazila structure.

The organizational structures under Khulna Division of IEAB are described below. For example: – 1. Khulna District, 2. Khulna Metropolitan 3. Magura District 4. Jessore District 5. Chuadanga District 6. Bagerhat District 7. MEPZ- Mongla Upazila Industrial Unit 8. Narail District 9. Meherpur District 10. Kustia District 11. Jhenaidah District and 12. Satkhira District.

The subordinate organizational structures of District / Metropolitan / Industrial Units of Khulna Division of IEAB are described below. For example: –

 

The organizational structure of IEAB under Khulna District includes: –

  1. Dumuria Upazila, 2. Batiaghata Upazila 3. Dacope Upazila 4. Dacope Municipality 5. Chalna Municipality 6. Phultala Upazila 7. Dighalia Upazila 8. Koyra Upazila 9. Terokhada Upazila 10. Rupsha Upazila 11. Paikgachha Upazila and 12. Paikgachha Municipality.

The organizational structure of IEAB under Khulna Metropolitan includes: –

  1. Zone -1 (Khan Jahan Ali Thana), 2. Zone -2 (Daulatpur Thana), 3. Zone-3 (Sonadanga Thana), and 4. Zone -4 (Khalishpur Thana)

 

The organizational structure of IEAB under Magura District includes: –

  1. Magura Sadar Upazila, 2. Magura Municipality 3. Shalikha Upazila 4. Sreepur Upazila and 5. Mohammadpur Upazila.

The organizational structure of IEAB under Jessore District includes: –

  1. Jessore Sadar Upazila, 2. Jessore Municipality 3. Noapara Municipality 4. Jhikargachha Upazila 5. Jhikargachha Municipality 6. Manirampur Upazila 7. Manirampur Municipality 8. Bagherpara Upazila and 9. Bagherpara Municipality 10. Abhaynagar Upazila 11. Abhaynagar Municipality 12. Keshabpur Upazila 13. Keshabpur Municipality 14.   Sharsha Upazila 15. Sharsha Municipality 16.  Benapole Municipality 17. Chaugachha Upazila and 18. Chaugachha Municipality.

The organizational structure of IEAB under Chuadanga District includes: –

  1. Chuadanga Sadar Upazila 2. Alamdanga Upazila 3. Damurhuda Upazila 4. Jibonnagar Upazila 5. Jibonnagar Municipality 6. Chuadanga Municipality 7. Darshana Municipality 8. Alamdanga Municipality and 9. Jibonnagar Municipality.

 

The organizational structure of IEAB under Bagerhat District includes: –

  1. 1. Bagerhat Sadar Upazila 2. Bagerhat Municipality 3. Chitalmari Upazila 4. Mollahat Upazila 5. Sarankhola Upazila 6. Rampal Upazila 7. Fakirhat Upazila 8. Morrelganj Upazila 9. Morrelganj Municipality and 10. Kachua Upazila.

The organizational structure of IEAB under MEPZ- Mongla Upazila Industrial Unit includes: –

  1. Mongla Upazila, 2. Mongla Municipality and 3. Mongla EPZ Sub-Industrial Unit.

 

The organizational structure of IEAB under Narail District includes: –

  1. Narail Sadar Upazila, 2. Narail Municipality 3. Lohagara Upazila 4. Lohagara Municipality 5. Kalia Upazila and 6. Kalia Municipality.

The organizational structure of IEAB under Meherpur District includes: –

  1. Meherpur Sadar Upazila, 2. Meherpur Sadar Upazila 3. Mujibnagar Upazila 4. Gangni Upazila and 5. Gangni Municipality.

 

The organizational structure of IEAB under Kustia District includes: –

  1. Kushtia Sadar Upazila 2. Kustia Municipality 3. Mirpur Upazila 4. Mirpur Municipality 5. Khoksa Upazila 6. Khogksa Municipality 7. Bheramara Upazila 8. Bheramara Municipality 9. Kumarkhali Upazila 10. Kumarkhali Municipality and 11. Daulatpur Upazila.

 

The organizational structure of IEAB under Jhenaidah District includes: –

  1. Jhenaidah Sadar Upazila 2. Jhenaidah Municipality 3. Shailkupa Upazila 4. Shailkupa Municipality 5. Harinakunda Upazila 6. Harinakunda Municipality 7. Maheshpur Upazila 8. Maheshpur Municipality 9. Kotchandpur Upazila 10. Kotchandpur Municipality 11. Kaliganj Upazila and 12. Kaliganj Municipality.

The organizational structure of IEAB under Satkhira District includes: –

  1. Satkhira Sadar Upazila 2. Satkhira Municipality 3. Shyamnagar Upazila 4. Assasuni Upazila 5. Kaliganj Upazila 6. Debhata Upazila 7. Kalaroa Upazila 8. Kalaroa Municipality and 9. Tala Upazila.